মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিত‌রের বাকি আর মাত্র ২/৩ দিন। এরিমধ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী লাখো মানুষ রাজধানী থেকে। এসব মানুষ ব্যক্তিগত গাড়িতে করেই রাজধানী ছাড়ছে। 

দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ঘরে ফেরা এ সকল মানুষের চাপ বেড়েছে।

প্রতিদিন এই নৌ-রুট দিয়ে স্বাভাবিক সময়েই হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন নদী পার হয়। আর ঈদের সামনে এই সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

পবিত্র ঈদুল ফিত‌রে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে দৌলত‌দিয়া-পাটু‌রিয়া নৌ-রু‌টে ২১‌টি ফে‌রি চলাচল কর‌বে বলে জানিয়েছিল বিআইডব্লিউটিসি। সেই মোতাবেক আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এই নৌ-রুটে নতুন একটি ফেরি যুক্ত হয়ে এখন ২১টি ফেরি চলছে।

বিআইড‌ব্লিউ‌টি‌সির দৌলত‌দিয়া ফে‌রিঘা‌টের ব‌্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন বিষয়টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

তি‌নি ব‌লেন, সর্বশেষ কৃষ্ণচূড়া না‌মের এক‌টি ইউ‌টি‌লি‌টি ফে‌রি নৌ-রু‌টে যুক্ত হওয়ায় স‌র্বোচ্চ সংখ্যক ফে‌রি চলাচল কর‌ছে। এর আগে এই নৌ-রুটে ২০টি ফেরি চলছিল নিয়মিত। যাত্রীদের কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ফে‌রিঘাট সূত্র জানায়, ঈ‌দে যাত্রী ও যানাবহন পারাপা‌রে দৌলত‌দিয়া-পাটু‌রিয়া নৌ-রু‌টে ১১‌টি রো রো ফে‌রি, ৭‌টি ইউ‌টি‌লি‌টি ফে‌রি, ২‌টি ড্রাম ফে‌রিসহ ১‌টি ছোট ফে‌রি চলাচল কর‌ছে।

শুক্রবার সকাল ১১টার দি‌কে ফে‌রিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলত‌দিয়া প্রা‌ন্তে ফে‌রি পা‌রের অ‌পেক্ষায় কোন বাস দেখা যায়‌নি। সি‌রিয়া‌লে নেই কোন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থান থে‌কে আসা এসব যানবাহন কোন ভোগা‌ন্তি ছাড়াই ফে‌রি‌তে পদ্মা পা‌ড়ি দি‌চ্ছে। অন্যদি‌কে ফে‌রিঘা‌টে আসা যাত্রীরা ভোগা‌ন্তি ছাড়াই দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে যা‌চ্ছে। ত‌বে দৌলত‌দিয়া প্রান্ত থে‌কে ব‌্যাটা‌রিচা‌লিত মা‌হে‌ন্দ্রে অ‌তি‌রিক্ত ভাড়া নি‌চ্ছে ব‌লে অ‌ভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন একা‌ধিক যাত্রীরা। অ‌তি‌রিক্ত ভাড়া ব‌ন্ধে কার্যকরী কোন পদ‌ক্ষেপ গ্রহণ কর‌তে দেখা যায়‌নি।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার ব‌লেন, ‌দৌলত‌দিয়া-পাটু‌রিয়া নৌ-রু‌টে বর্তমা‌নে ২১‌টি ফে‌রি চলাচল কর‌ছে। কোন রকম দু‌র্ভোগ ছাড়াই ঈ‌দে মানুষ বাড়িতে যা‌চ্ছেন। ফে‌রিঘাট এলাকায় আমা‌দের বিপুল সংখ্যক পু‌লিশ সদস্য কাজ কর‌ছে।

(এমজি/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০২২)