তুষার কান্তি বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে দু’ দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার  গভীর রাত পর্যন্ত  টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটাগাতী ও শ্রীরামকান্দি গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আমারত্মক আহত ২ জনকে গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আরো ১৩ জন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বুধবার গভীর রাতে পুলিশ ৪২ রাইন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পাটগাতি গ্রামের লিটু শেখের স্ত্রী ও মেয়েরা মধুমতি নদীর পাটগাতি বাজার সংলগ্ন ঘাট এলাকায় গেলে শ্রীরামকান্দির কয়েকটি ছেলে তাদেরকে ইভটিজিং করে। এ বিষয় নিয়ে শ্রীরামকান্দির ছেলেদের চর ধাপ্পর দেয় পাটগাতী গ্রামের লোকজন। এ ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রীরামকান্দি গ্রামের লোকজন পাটগাতী গ্রাম আমক্রমন করে। পরে পাটগাতীর লোকজন প্রতিহত করে।

এ নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া চলে। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সংবাদ কর্মিসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১৫ জন আহত হয়। এ সময়ে পাকিং করে রাখা ৪/৫টি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। ৩/৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এ পরিস্থিতি চলতে থাকে কয়েক ঘন্টা ধরে। পরে গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ৪২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি । এলাকায় ধমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষের খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান ও নিহাদ আদনান তাইয়ানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(টিকেবি/এসপি/মে ০৫, ২০২২)