আশজাদ রসুল সিরাজী, গাজীপুর : আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার একজন দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি খুব দ্রুত সময়ে শ্রমিকদের মাঝে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছিলেন। যার কারণে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি শিক্ষক থেকে একজন শ্রমিক নেতা হয়ে মেহনতি মানুষের খুব কাছে যেতে পেরেছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যার কারণ ছিল আদর্শিক। ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক মিত্র তারা আমাদের এ স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। তারা বারবার চেষ্টা করেছিল আমাদের এ স্বাধীনতাকে পরাধীনতার শৃংখলায় আবব্ধ করার জন্য।  

শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর উপলক্ষ্যে আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যেতিনিএসব কথা বলেন।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, প্রফেসর রুমানা আলী টুসি এমপি, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান, সাবেক সচিব ও জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি এমএম নিয়াজ উদ্দিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মহি উদ্দিন মহি, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামিল হাসান দুর্জয়সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও গাজীপুর প্রেস ক্লাব এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো এবং ফাতেহা পাঠ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

তিনি আশা ব্যক্ত করেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের আগামি ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আগেই এ হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।

(এস/এসপি/মে ০৭, ২০২২)