ইমরান হোসাইন, সিরাজগঞ্জ : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি এমপি বলেছেন, স্বৈরশাসক জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া রবীন্দ্র গবেষনায় বাধা সৃষ্টি করেছেন, রবীন্দ্রনাথের চেতনার বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করেছে। কিন্তু বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় রবীন্দ্র গবেষনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। রবীন্দ্রনাথের চেতনাকে সারাবাংলায় ছড়িয়ে দিচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে ধারন করতেন, তাকে ভালোবেসে ‘আমার সোনার বাংলা’কে জাতীয় সংগীত করেছেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতাকে ভালোবাসতেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরি আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথের বাংলায় জীবনমান আরো উন্নত হবার কথা ছিল, কিন্তু আমরা রবীন্দ্র চেতনাকে নানা কারনে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সময়ে ধারন করতে পারিনি, রবীন্দ্রনাথ যে কৃষকদের ভালোবেসে তার জমিদারির ১৪’শ বিঘা জমি দান করেছিলেন, সেই কৃষকদের নির্যাতন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে, আমরা রবীন্দ্রনাথকে ধারন করার সুযোগ পেলে এ দেশ আরো অনেক আগেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হতো।

রবিবার বেলা বারটায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি এমপি এ কথাগুলো বলেন।

রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. ফারুখ আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শাহ আলম শান্তনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ চয়ন ইসলাম, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদি প্রমূখ।

আজ ২৫ শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে শুরু হওয়া অনুষ্টানমালার মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও রবীন্দ্র মেলা। তিনদিনব্যাপি জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানকে ঘিরে শাহজাদপুরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দর্শনার্থী ও রবীন্দ্রপ্রেমিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কবীর স্মৃতিবিজরিত কাচারিবাড়ি অঙ্গন। করোনায় দু বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর তিনদিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান মালার মধ্য দিয়ে কবির জন্ম বার্ষিকী পালন করছে শাহজাদপুরবাসী।

নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারীর একটি অংশ শাহজাদপুরের জমিদারী নিলামে উঠলে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকনাথ ঠাকুর ১৮৪০ সালে মাত্র ১৩ টাকা ১০ আনায় শাহজাদপুরের এই জমিদারী কিনে নেন। ১৮৯০ থেকে ১৮৯৭ এই ৮ বছর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারী দেখাশুনার জন্য এখানে আসতেন এবং সাময়িক ভাবে বসবাসও করতেন। আর এখানে বসেই কবি রচনা করেছেন কবিতা সোনারতরী, চিত্র, চৈতালী, কল্পনা, ছোটগল্প পোষ্ট মাষ্টার, রাম কানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা, ব্যবধান, তারা প্রসন্নের কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ক্ষুধিত পাষান, অতিথি, ৩৮ টি ছিন্ন পত্রাবলী, প্রবন্ধ ও গীতাঞ্জলির অংশ বিশেষ, নাটক বিসর্জন এর মত সাহিত্য কর্ম।

(আই/এসপি/মে ০৮, ২০২২)