ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারী শহরের পাঁচমাথা পার হয়ে পূর্বদিকে মাইল খানেক এগিয়ে গেলেই কানিয়ালখাতা মুন্সিপাড়ায় একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে আসা-যাওয়ার তিন' শ মিটার একটি রাস্তার অভাবে শত শত মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। 

কাঁচা মাটির আল ধরে এলাকার মানুষদের মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে হয়। বর্ষাকালে এলাকার মানুষদের দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়। আবাদী জমি দিয়ে মানুষ চলাচল করায়, একটু বৃষ্টিতেই কাঁদাতে চলাচল বিঘ্ন ঘটে। এই তিন'শ মিটার রাস্তার জন্য স্থানীয়রা জমি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত থাকার পরও কেন এখনো সেটি আলোর মুখ দেখছে না, একারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ এলাকাবাসীর কপালে।

দীর্ঘদিনের দাবি, এলাবাসীর প্রত্যাশা ছিল সাহসাই রাস্তাটি ব্যবহারের জন্য তৈরি করে দেয়া হবে। সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রশীদ মঞ্জু দ্বায়িত্বে থাকাকালে মসজিদের পূর্ব প্রান্তের দুই'শ মিটার রাস্তা তৈরী করে দিয়েছেন; কিন্তু অপর পশ্চিম প্রান্তের তিন'শ মিটার রাস্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এলাকাবাসীর দাবি এক প্রান্তের রাস্তার সাথে অপরপ্রান্তের রাস্তার সংযোগ সাধন করে এলাকাবাসীর দুর্দশা লাঘব করে দেওয়া।

এলাকাবাসীর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সবাই আমরা চাই রাস্তাটি হোক। এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের নিজেদের জমি ছেড়ে দিয়েছি। অদৃশ্য কোন কারণে মসজিদের পশ্চিম প্রান্তের তিন'শ মিটার রাস্তাটি হচ্ছে না, তিনি তা জানেন না।

মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এসে জাযগাটি পরিদর্শন করে গেছেন। এরপরও কাজের বাস্তব কোন অগ্রগতি নাই।

হাফিজুর ইসলাম বলেন, এই প্রান্ত দিয়ে প্রতি দিন কয়েক'শ মানুষ নামাজ পড়তে আসেন। রাস্তা না থাকায় এই এলাকার মানুষদের চরম ভোগান্তীর মধ্যে পড়তে হয়। জমির মালিক জমি ছেড়ে দিয়েছেন মানুষের সুবিধার জন্য।
আব্দুল আজিজ বলেন, বর্ষায় এই পথ দিয়ে চলাচল অনেক বিড়ম্বনার কারণ।

হামিদুর ইসলাম বলেন, যদি এমন হোত যে জমির মালিক জমি দিচ্ছে না, এজন্য রাস্তা হচ্ছে না, এমনটা নয়-জমির মালিক জমি দিচ্ছে, কিন্তু কতৃপক্ষ উদ্দোগ নিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যেখানে এই রাস্তার জন্য উপজেলা থেকে বরাদ্দ হয়ে গেছে, সেখানে কাজ শুরু না হওয়ায় আমাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

মোঃ আজিমুদ্দীন বলেন, এখানে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে আসি। জঙ্গল, গর্ত, আগাছা ডিঙ্গিয়ে এখানে আমাদের আসতে হয়।

জমসের আলী বলেন, আসা যাওয়ার খুব সমস্যা এই রাস্তা দিয়ে।ইটাখোলা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির বলেন- মুন্সি পাড়ার মসজিদ এর রাস্তাটা স্থগিত করেছি করাণ এর থেকেও জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ইটাখোলা ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ডের একটি আছে এটা আগে করা জরুরি তাই লিস্টে নাম আসলেও এবার এই দিকে এই রাস্তাটা করার পরিকল্পনা করছি।

এক জায়গার বরাদ্দ অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এটা ইউনিয়নের বাজেট ইউনিয়নের উন্নয়নে জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো হচ্ছে এ ব্যাপারে উপজেলার চেয়ারম্যান এর সাথেও আমি কথা বলেছি। তিনি আরো বলেন, আমি কথা দিচ্ছি আগামী বছর ইটাখোলা ইউনিয়নে উপজেলা থেকে কোন বাজেট আসলেই আমি মুন্সি পাড়া মসজিদ এর রাস্তাটা করে দিব। বেশী দিন সময় লাগবে না আগামী বছরেই হবে।
উপজেলা প্রকৌশলি মোঃ তাহের জানান, কানিয়ালখাতা মুন্সি পাড়ার মসজিদ থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত একটি রাস্তার প্রজেক্ট হয়েছে আমি ওখানে গিয়েছিলাম, মাপজোঁক করা হয়েছে, পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এর থেকেও জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আছে, আগে এটা করে পরের বার এই রাস্তা করা হবে।

নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, যত দ্রুততার সাথে পারি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য রাস্তাটি করার জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটি হয়ে যাবে।

ইটাখোলা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির বলেন, মুন্সি পাড়ার মসজিদের রাস্তাটা স্থগিত করেছি কারণ এর থেকেও জনগুরুত্বসম্পন্ন রাস্তা ইটাখোলা ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ডের এ আছে, এটা আগে করা জরুরি তাই তালিকায় নাম আসলেও এবার এই দিকে এই রাস্তাটা করার পরিকল্পনা করছি।

এক জায়গার বরাদ্দ অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা ইউনিয়নের বাজেট ইউনিয়নের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো হচ্ছে এ ব্যাপারে উপজেলার চেয়ারম্যান এর সাথেও আমি কথা বলেছি।

তিনি আরো বলেন, আমি কথা দিচ্ছি আগামী বছর ইটাখোলা ইউনিয়নে উপজেলা থেকে কোন বাজেট আসলেই আমি মুন্সি পাড়া মসজিদ এর রাস্তাটা করে দিব। বেশী দিন সময় লাগবে না আগামী বছরেই হবে।

(ওকে/এসপি/মে ১১, ২০২২)