বাগেরহাট প্রতিনিধি : দেশব্যাপী ভোজ্য তেলের তীব্র সংকটের মধ্যে বাগেরহাটে শহরের তেলপট্টীর শ্রী ভান্ডারের মালিক তেল মজুদকারী মদন সাহা খুঁজে পায়নি কোন ক্রেতা। তার ভাষ্যমতে, ক্রেতা খুঁজে না পাওয়ায় ফ্রেস ও পুষ্টি ব্রান্ডের লিটার প্রতি ১৬০ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৮০০ লিটার সোয়াবিন তেল গুদামে অবিক্রিত রয়েগেছে। তার এই দাবি মিথ্যা প্রমাণ করলেন বাগেরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ ইমরানের নেতৃত্বে ভ্রম্যমাণ আদালত। মুর্হুতেই ৩ হাজার ৮০০ লিটার সোয়াবিন তেল কিনে নিলো সাধারণ ক্রেতারা। বুধবার দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে অবৈধ ভাবে সয়াবিন মজুদ করে রাখার অপরাধে ব্যবসায়ী মদন সাহাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযোগে বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সুভাস পাল ও রবীন পালকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বাগেরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ ইমরান জানান, বুধবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের তেলপট্টীর শ্রী ভান্ডার নামে তেলের দোকানের গুদামে অভিযান কালে তেল মজুদকারী মদন সাহার বক্তব্যে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। ওই অসাধু তেল ব্যবসায়ী দাবি করেন, দেশব্যাপী ভোজ্য তেলের তীব্র সংকটের মধ্যেও ক্রেতা না পাওযায় তার গুদামে ফ্রেস ও পুষ্টি ব্যন্ডের লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল রয়েগেছে। তার এই দাবি মাত্র মুহুর্তেই মিথ্যা প্রমানিত হয়। সাধারণ ক্রেতারা মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে ১৬০ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৮০০ লিটার সোয়াবিন তেল কিনে নেয় সাধারণ ক্রেতারা। অবৈধ ভাবে সয়াবিন মজুদ করে রাখার অপরাধে ব্যবসায়ী মদন সাহাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযোগে বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী সুভাস পাল ও রবীন পালকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের মজুদ না করাতে এই তিনজন তেল মজুদকারীকে সতর্ক করা হয়।

(এসএকে/এএস/মে ১১, ২০২২)