ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে ধান কাটা-মাড়াই কাজ। এসব মাঠ থেকে ৭ লাখ ৭ হাজার ১৭৬ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এ থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৫১ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন ধরা হয়।

জানা যায়, কৃষি নির্ভশীল জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার সাতটি উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ফসলে জীবিকা নির্বাহ করে। এর মধ্যে বোরো মৌসুমের ধানই কৃষকের প্রধান ফসল। চলতি মৌসুমে ১ লাখ ২৭ হাজার, ৭৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করেছে তারা। সম্প্রতি শুরু হয়েছে এই ধান কাটা-মাড়াই। রোপণের শুরু থেকে

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। এর মধ্যে আবহাওয়ার বিরূপ আচরণে ক্ষেতে থাকা পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। তাই ৮০ ভাগ ধান পাকতেই একযোগে শুরু করা হয়েছে ধান কাটার কাজ। যার ফলে চরম ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক-শ্রমিকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির উঠানে কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে অবিরত। কেউ কেউ ধান ঝড়াচ্ছে পিটিয়ে আবার কেউবা মেশিনের সাহায্যে। যেন দম ফেলানোর ফুরসরত নেই তাদের। বসে নেই গৃহবধূ ও সন্তানেরাও। একই কাজে ব্যস্ত সবাই। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। যার কারণে শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে ধান কাটার কাজ করে নেওয়া হচ্ছে। আর তাদের পারিশ্রমিক দিতে বিক্রি করা হচ্ছে এইসব নতুন ধান। তবে পাচ্ছেন না সঠিক দাম। তবুও নানা দায় সারতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা।

কৃষক মজিবর রহমান জানান, চলতি বোরো মৌসুমে দুই একর জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। ফলন হয়েছে বাম্পার। তবে শ্রমিক অভাবের কারণে অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে ধান কেটে নেওয়া হচ্ছে। ঘরে তোলা এই ধানের দাম কম থাকায় কিছুটা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, কৃষকদের ভালো ফলন ও লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ মাঠপর্যায়ে সর্বাত্নকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, কৃষকদের খরচ কমানোর জন্য কম্বাইণ্ড হারভেস্টার মেশিনসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর ধান ফসল ঘরে তুলে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হতে পারবেন।

(এসআইআর/এএস/মে ১২, ২০২২)