বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টে-বালিয়াঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ ও পুরাতন ভবন বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাগেরহাট সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত করে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।

ভট্টে-বালিয়াঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ফকির বলেন, ২০১৮ সালের হিসেব মতে বিদ্যালয়ে ৫৫টি বিভিন্ন গাছ ছিল। কিন্তু নতুন ভবন নির্মানের জন্য বেশকিছু গাছ কাটারা প্রয়োজন হয়। ওই গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এছাড়া পুরাতন বিদ্যালয় ভবনের ইট, রড ও শুড়কি ছিল যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। এসব গাছ ও ইট, রড ও শুড়কি বিক্রয়ের কোন হিসাব স্কুলের রেজুলেশনে উল্লেখ নাই। এক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয়েছে তৎকালীন কমিটির লোকজন এই সম্পদ বিক্রির ক্ষেত্রে গুরুত্বর অনিয়ম করেছেন। এজন্য আমি অভিযোগ দিয়েছি। তদন্তে যে অপরাধি হবেন তিনি শাস্তি ভোগ করবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাপ্পি সাহা বলেন, বিদ্যালয় বপরিচালনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি আলিম চাকলাদার এই বিদ্যালয়ের অনেক সম্পদ তার ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছেন। অনেক অনিয়মও করেছেন তিনি। বিদ্যালয়ের গাছ, ইট, শুড়কি ও রড এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করেছেন সভাপতি। আমরা সঠিক তদন্তপূর্বক গাছ ও ইট শুড়কির হিসেব চাই।

ভট্টে-বালিয়াঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পি দাস বলেন, যখন গাছ কাটা হয়েছে, তখন আমি প্রধান শিক্ষক ছিলাম। তখনকার বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কোন অনিয়ম দূূনীতি হলে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

বাগেরহাট সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোস্তাকিন বিল্লাহ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। গাছ ও পুরাতন ইট রড বিক্রির ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তৎকালীন স্কুল পরিচালনা কমিটির লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তদন্ত শেষে অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য বলা সম্ভব হবে।

(এসএকে/এসপি/মে ১২, ২০২২)