মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল বটতলা স্ট্যান্ডের পাশেই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম। 

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি এসব আইসক্রিম খেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা। তপ্ত দুপুরে পাড়া বা মহল্লায় কিংবা বিভিন্ন স্কুলের পাশে ভ্যান গাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে এসব বিষযুক্ত কেমিক্যালে তৈরি আইসক্রিম। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন এভাবেই অসাধু উপায়ে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কশিল বটতলা এ আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এমন সব উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুদের জন্য হরেক রকম আইসক্রিম। বাহারি রঙের এসব আইসক্রিমে দেয়ালে ব্যবহৃত রঙ, পাউডার দুধ, দুধের ক্ষতিকর ফ্লেভার, ঘণ চিনিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব আইসক্রিম।

ফ্যাক্টরীর স্যাঁতস্যাতে ভেজা পরিবেশে ময়লা ড্রামে আটা পিষে বিষাক্ত কালার মিশিয়ে বাহারি এই আইসক্রিম তৈরি হচ্ছে।

যারা আইসক্রিম বানানোর কাজ করছেন তাদের ঘর্মাক্ত শরীর থেকে চুইয়ে চুইয়ে ঘাম পরছে উপকরণের উপর।

নেই কারখানা পরিচালনার অনুমতিপত্র ও পরিবেশ ছাড়পত্রও। বিএসটিআইয়ের অনুমতি পত্র ছাড়াই চলছে আইসক্রিম বাণিজ্য।

সোয়ত আইচ মালাই আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর মালিক লিটন বলেন, করোনার কারণে আমাদের ফ্যাক্টরী দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো। নতুন করে পুনরায় চালু হচ্ছে। যতটুকু সম্ভব পরিস্কার করেই আইসক্রিম উৎপাদন করছি।

আইসক্রিমে কেমিক্যাল মানবদেহে কি কি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা.শার্লী হামিদ বলেন,যেকোন কেমিক্যালই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। শুধু ছোটদের ক্ষতি হবে এমন নয়। এটা সবার জন্যই ক্ষতিকর। এসব কেমিক্যাল ব্যবহারে মানুষের কিডনি রোগ হতে পারে। কিডনি তার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারে এবং এসব কেমিক্যাল গ্রহণকারীরা মারাও যেতে পারেন।

এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী মোবাইল নাম্বারে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(এসএম/এসপি/মে ১৫, ২০২২)