কেন্দুয়া প্রতিনিধি : বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রবাসী আবুল কাশেমের স্ত্রী সমলার দায়েরকৃত দুটি মামলা নিয়ে এলাকার সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা। মামলা দুটির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বাঁশাটি গ্রামের পাড়া লক্ষীনগরের সৌদি আরব প্রবাসী আবুল কাশেমের স্ত্রী সমলা বাদী হয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশি আবুল হোসেনের ছেলে ফকরুউদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন চলতি বছরের গত ১০ এপ্রিল এবং অপরটি ৩ মে।

সরজমিনে গেলে, দুটি মামলার ঘটনা সাজানো ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করেছেন ফকরুদ্দিন গং ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

গণ্যমান্য ব্যক্তি আব্দুল লতিফ ও আব্দুস সালাম বলেন, দুটি মামলাই ফকরুদ্দিনদের হয়রানির জন্য করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত কিংবা বিনা নোটিশ ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই ফকরুদ্দিনদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এটি খুবই দুঃখজনক। তারা এসব ঘটনা স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে মীমাংসার দাবি জানান।

মামলার বাদী সমলা জানান, আমার স্বামী ও ছেলে সৌদিতে থাকে। আমাকে একাকী পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকেরা নানাভাবে নির্যাতন করছে। আমি আইনের আশ্রয়ে গিয়ে বিচারের জন্য মামলা করেছি। তবে তিনিও সামাজিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা দাবি করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহবুব জানান, লিখিত এজাহারের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছে। তদন্তেই বেরিয়ে আসবে কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা।

গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগ বলেন, সীমানা বিরোধের ঘটনায় দুটি সালিশ হলেও মীমাংসা হয়নি। তবে এভাবে মামলা হলে ইউনিয়নে মামলার সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। তদন্ত ছাড়াই মামলার বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তুলে ধরব।

(এসবি/এসপি/মে ১৭, ২০২২)