মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের গাছাবাড়ীর আদিবাসী স্কুলছাত্রীর গত এক সপ্তাহেও সন্ধান মেলেনি। কর্পোস খ্রিস্ট্রি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওইছাত্রী গত ১০ মে (মঙ্গলবার) নিখোঁজ হয়। গত ১১ মে থানায় মধুপুর থানায় ওই ছাত্রীর বাবা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

জানা গেছে, কর্পোস খ্রিস্ট্রি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওইছাত্রীকে জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. কাবিল মিয়ার ছেলে মো. মামুন মিয়া ও তার সহযোগীরা স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নানাভাবে উত্যক্ত করত। সোমবার(২৫ এপ্রিল) মধুপুরের হাওদা বিলে ছাত্রীটির বাবা কৃষিকাজ করছিলেন।

সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ওইছাত্রী বাবার জন্য খাবার নিয়ে যায়। ফেরার পথে উল্লেখিত মো. মামুন মিয়া ও তার দুই সহযোগী ওই স্কুলছাত্রীকে রাস্তার পাশে একটি কলাবাগানে জোর করে ধরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটির চিৎকার-চেঁচামেচিতে তারা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা(নং-২৪, তাং-২৬/৪/২২ইং) দায়ের করে।

মামলা দায়ের করার পর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. কাবিল মিয়ার ছেলে মো. মামুন মিয়া ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এ ঘটনার পর গত ১০ মে(মঙ্গলবার) রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে ওই স্কুলছাত্রীর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা।

স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, তারা ধারণা করছেন মামলা করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে মো. মামুন মিয়া তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। বেরীবাইদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুলহাস উদ্দিন জানান, তারা দু’জনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে। সেজন্যই সম্ভবত মেয়েটি ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে।

মধুপর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন(বিপিএম) জানান, তারা ধারণা করছেন এটা প্রেমঘটিত বিষয়। তারা তদন্ত করে দেখছেন এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

(এসএম/এসপি/মে ১৭, ২০২২)