রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে কর্মসৃজন কর্মসূচীতে চলছে নানা অনিয়ম। এতে করে গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নয়ন যেমন ব্যহত হচ্ছে তেমনি গ্রামীন কাচা রাস্তার কাজ চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে কর্মসৃজন কর্মসূচীর আওতায় শ্রমিকদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কাজ না করেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৮ মে অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে গিয়ে ১৬জন শ্রমিককে উপস্থিত পাওয়া যায়। ওই ওয়ার্ডের মোট শ্রমিকের সংখ্যা কত তা শ্রমিকেরা বলতে পারে না। ২নং ওয়ার্ডে ১৬ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়।

শ্রমিক সর্দার মোহাম্মদ আলী জানান, অত্র ওয়ার্ডে মোট ২৬ জন শ্রমিক রয়েছে। তার মধ্যে নিয়মিত ১৫ থেকে ১৬ জন কাজ করে আসছে। বাকী শ্রমিকদের কাজে দেখা যায় নাই। ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহবুব জানান, ওই ওয়ার্ডে ৩৫ জন শ্রমিক রয়েছে। তার মধ্যে ১৬জনকে মাঠে কাজ করতে দেখা যায়। তবে কোন দলের কাছেই হাজিরা খাতা পাওয়া যায় নাই। ওই ওয়ার্ডে মোট কতজন শ্রমিক তা সঠিক ভাবে কেহই বলতে পারে না।

কোন দলে কতজন শ্রমিক রয়েছে তা হাজিরা খাতা না থাকার ব্যাপারে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্করের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন ওয়ার্ডে কতজন শ্রমিক রয়েছে সেই সকল তালিকা প্রদানের জন্য অত্র ইউপি সচিবকে তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু তিনি অদ্যাবধি তালিকা দেন নাই বলে জানান। এলাকাবাসীর অভিযোগ অত্র ইউপি সচিব নাজমুল হাসান এই ইউনিয়নে আসার পর থেকেই নিয়মিত ভাবে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। এবং অধিক সময়ই মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা হয়। যদিও খোলা থাকে তবে রিসিভ করেন না। তাতে করে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সুবিধা নিতে এসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে ভূক্তভোগীরা জানান। ইতিপূর্বে ওই ইউনিয়নের প্রথম পর্যায়ে অনেক শ্রমিকই মাঠে না কাজ করে অর্থ উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ:দা:) রেজাউল করিম জানান যে সকল শ্রমিক কাজে যোগদান করছেন না প্রকল্প চেয়ারম্যানদেরকে তাদের অনুপস্থিত দেখাতে বলা হয়েছে।

(আর/এসপি/মে ১৮, ২০২২)