আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় উপজেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার দাড়িয়া, তার স্ত্রী, মেয়ের উপর হামলা মামলার অন্যতম আসামী আগৈলঝাড়ায় জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর কর্মচারী রাজীব হাওলাদারকে চাকুরীচ্যুত করেছে বরিশাল জেলা পরিষদ।

বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রাজীব হাওলাদারকে চাকুরীচ্যুত করার বৃহস্পতিবার সকালে সত্যতা স্বীকার করেছেন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন। চাকুরীচ্যুত বাজীব আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের মো. হাকিম হাওলাদারের ছেলে। সে জেলা পরিষদের অধীনে আগৈলঝাড়া ডাক বাংলোয় মাস্টার রোলে কর্মরত ছিল।

অফিস আদেশে জানা গেছে, ১২মে জেলা পরিষদ প্রসাসনিক কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে “আগৈলঝাড়া ডাক বাংলোর দাড়োয়ান কাম কেয়ার টেকার (মাস্টার রোল) এর বিষয়ে ফৌজদারি অপরাধে জেল হাজতে থাকার রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পরিষদ সরেজমিন তদন্ত করে ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়ে জেলা হাজতে থাকা এবং এবং মাদক ব্যবসার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমান পায় তারা।

উল্লেখিত অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় এবং জেলা পরিষদ ৫.৫.১৯ তারিখের ২০১৯/২৯১ নং স্মারকের নিয়োগ আদেশের ৫নং শর্ত মোতাবেক রাজিব হাওলাদারের নিয়োগ আদেশ বাতিল করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব।

প্রসংগত, ঈদের আগের রাতে (২মে) পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছরোয়ার দাড়িয়া, স্থানীয় সোহান মুন্সি, ছরোয়ার দড়িয়ার স্ত্রী আঙ্গুরী বেগম, মেয়ে সুমি আক্তারকে মারধর, শ্লীলতাহানী, ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছরোয়ার দাড়িয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫জনকে আসামী করে ৬মে মামলা দায়ের করেন, নং-২ (৬.৫.২২)। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বরিশাল জেলা পরিষদ কর্মচারী (আগৈলঝাড়া ডাক বাংলোয় কেয়ার টেকার হিসেবে কর্মরত) দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের হাকিম হাওলাদারের ছেলে রাজীব হাওলাদারসহ (২৬),সহ উত্তর শিহিপাশা গ্রামের সাবেক মেম্বর কুদ্দুস মোল্লার ছেলে নাঈম মোল্লা (২২), ডুমুরিয়া গ্রামের পলাশ জয়ধরের ছেলে প্রশান্ত জয়ধর (২০) ও ফুল্লশ্রী গ্রামের লোকমান সরদারের ছেলে নয়ন সরদারকে (২০) গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। বর্তমানেও তারা জেল হাজতে রয়েছে।

(টিবি/এসপি/মে ১৯, ২০২২)