রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা শহরতলীর শহরের অদূরে আলিপুর বাঁকাল চেকপোষ্ট এলাকায় জোরপূর্বক শ্মশানের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে শ্মশানের প্রাচীর ভাঙচুর করেছে মো. সিরাজদৌলা সবুজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। শনিবার দুপুর ১টার দিকে আলিপুর বাকালআটি শ্মশানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকার মৃত রাখাল চন্দ্র সরকারের ছেলে শংকর কুমার সরকার বাদী হয়ে সিরাজদৌলা সবুজের নাম উল্লেখ করে আরো ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শংকর সরকার জানান, দু’ শতাধিক বছর ধরে আলিপুর বাকালআটি শ্মশানটি ওই এলাকার সনাতন ধর্মীয় লোকজান লাশ সৎকারের কাজে ব্যবহার করে আসছেন। সরকারিভাবে বন্দোবস্ত নেওয়া শ্মশান রক্ষার্থে এলাকাবাসী উক্ত শ্মশানের তিন পাশে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করে। সম্প্রতি কয়েক বছর যাবৎ আলিপুর সরদার পাড়ার মৃত আফছার সরদারের ছেলে সিরাজদৌলা সবুজ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উক্ত শ্মসানের জায়গা জবরদখলের পায়তারা করে এবং শ্মশান কমিটির লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে সিরাজদৌলার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী হাতুড়ি, শাবল, কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক শ্মশান এলাকায় প্রবেশ করে শ্মশানের প্রাচীর ভাঙচুর করে। বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাদের কয়েকজনকে ধাওয়া করে। প্রাণে বাঁচতে তারা সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। শ্মশানের প্রাচীর ভাঙচুর শেষে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী মোটরসাইকেলে করে এলাকায় প্রবেশ করে নিরীহ মানুষদেরকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসে’।

জানা গেছে এ ঘটনার পর সন্ত্রাসী বাহিনীর মূল হোতা মো. সিরাজদৌলা সবুজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে স্থানীয় নিরীহ জনতা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। এ বিষয়ে তার প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সাতক্ষীরা থানার ওসি গোলাম কবির জানান, শ্মশান ভাঙচুরকারিদের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এএস/মে ২৩, ২০২২)