রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ছয় সন্তানের জননী আবারো অন্তঃস্বত্বা হওয়ায় তাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপাজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। ক্ষুব্ধ জনতা নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

নিহত গৃহবধুর নাম আশরাফুন্নেছা (৩৮)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি গ্রামের শফিকুল গাজীর স্ত্রী ও ছয় সন্তানের জননী।

ইউপি সদস্য মশিউর রহমান জানান, ২০৯৯ সালে নাপিতখালি গ্রামের ফটিক গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলামের সাথে পারশেমারি গ্রামের আশরাফুন্নেছার বিয়ে হয়। তাদের দু’টি ছেলে ও চারটি মেয়ে রয়েছে। অভাব অনটনের কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। এরইমধ্যে শফিকুল তিন বছর আগে একই গ্রামের ওয়াজেদ গাজীর মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ফুলমতিকে(২৬) বিয়ে করে। এরপরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শফিকুলের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি শফিকুলের প্রথম স্ত্রী আবারো গর্ভবর্তী হয়। এটা মেনে নিতে পারেনি দ্বিতীয় স্ত্রী। তাই দ্বিতীয় স্ত্রীর কথামত শফিকুল প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা কেেরছে বলে মনে করা হচ্ছে। সকালে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে এমন প্রচার দিয়ে পারিয়ে যাওয়ার সময় শফিকুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

শফিকুলের মেঝ মেয়ে শরিফা খাতুন জানান, সোমবার গভীর রাতে তার মাকে মারপিটের পর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে বাবা। ভয়ে তারা মুখ খুলতে পারেনি। সকালে বাবা চলে যাওয়ার পর তারা কান্নাকাটি করার একপর্যায়ে গ্রামবাসি ছুঁটে এসে মা মারা গেছে বলে জানায়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, আশরাফুন্নেছার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(আরকে/এসপি/মে ২৪, ২০২২)