স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’র ট্রেলার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। চলচ্চিত্রটি দেখতে অধীর আগ্রহে রয়েছে সবাই। আমিও এটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ফ্রান্সে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের ট্রেলারের উদ্বোধন শেষে আজ দুপুরে দেশে ফিরেছেন মন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বহুল কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। কান শহরের প্রধান প্রধান প্রবেশদ্বারে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’র পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, আত্মত্যাগ এবং জাতির রূপকার হিসেবে তার ত্যাগ, সংগ্রাম, অর্জন তুলে আনা হয়েছে।

বায়োপিক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং আরও যারা বিশ্বনেতা আছেন, তাদের জীবন-কর্মকে আড়াই-তিন ঘণ্টায় তুলে আনা কঠিন। তবে এ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মকে তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।’

বায়োপিক নিয়ে সমালোচনার মুখে এটির পরিচালক শ্যাম বেনেগালের বক্তব্যের সঙ্গে একমত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ঠিকই বলেছেন। দেড় মিনিটের ট্রেলার দেখে একটি চলচ্চিত্রের ওপর মন্তব্য করা যায় না। এজন্য পুরো ছবিটা দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ চলচ্চিত্রটি ডকুমেন্টরি হিসেবে কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রশ্নে যেভাবে অবিচল ছিলেন, সেই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে।’

দেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্ব পরিসরে তুলে ধরতে আগামী বছর থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ একটি স্টল দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও জানান হাছান মাহমুদ।

অপপ্রচারকারীদের ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা উচিত মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন, দেশের আপামর মানুষের জন্য। যারা এ সেতু নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল, তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। অপপ্রচারকারীদের বলবো, ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে আপনারা যেতে পারেন, বাংলাদেশের জনগণ সেটিই প্রত্যাশা করে।’

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সম্পাদক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল, সিপিডি, টিআইবিসহ আরও অনেকে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করতে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে অপচেষ্টা চালিয়েছিল। অনেকে আবার বিশ্বব্যাংকে সরাসরি চিঠি লিখেছিলেন, ই-মেইল করেছিলেন। তাদের সব বিরূপ মন্তব্য, ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।’

(ওএস/এএস/মে ২৫, ২০২২)