মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার মেঘনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে পিওনের চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলার মেঘনা খামারপাড়া এলাকার মোঃ ওয়াজেদ আলী প্রামাণিকের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম এমন অভিযোগ তুলে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা, অফিসার ইনচার্জ, মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেঘনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর লিখতে অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করেছেন।

লিখত অভিযোগের মোঃ নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, গত ১ জুন ২০০৩ তারিখে মেঘনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে পিওন পদে নিয়োগ প্রদান করেন। সেই সময় তাকে মেঘনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্যাডে প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সাক্ষরিত একটা নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। পরে ১০ জুন ২০০৩ তারিখে নজরুল ইসলাম অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান পত্র দাখিল করলে তাকে প্রধান শিক্ষক কাজে যোগদানের অনুমতি দেন।

দীর্ঘদিন যোগদানের পর ও যখন পিওন পদটি এমপিও ভুক্ত হয় না তখন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে পরিক্ষার সময় ব্যতিত না আসতে বলেন।

তবে ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও নজরুল ইসলামের পিওন পদটি এমপিও করা হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে টাকার বিনিময়ে আরও দুইজন কে নিয়োগ প্রদান করে এমপিও করেছেন প্রধান শিক্ষক। তবে এখন আর নজরুল ইসলাম কে কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক এমন অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস কে পাওয়া যায়নি। সেই সাথে তার সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন তিনি নিয়মিত ফ্লাস খেলে। এ জন্য বিদ্যালয়ে সময় মতো তাকে পাওয়া যায় না।

প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তাতে নজরুল ইসলামের নিয়োগ ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

(এমজি/এসপি/মে ২৫, ২০২২)