আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় মো. বাবলু ফকির (৪৫) নামে হত্যাসহ ১৮টি মামলার এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে মৃত মোজাম ফকিরের ছেলে। মঙ্গলবার গভীর রাতে খারদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক। 

খারদিয়া গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন- একাধিক মামলার আসামি থাকার পরেও বাবলু ফকির গ্রামে থেকে প্রকাশ্যে নানা ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। এলাকায় টুকটাক ঝামেলা হলে তিনি তাতে ইন্ধন দিয়ে বড় ধরণের সংঘর্ষ সৃষ্টি করে সবার আগে থেকে নেতৃত্ব দিতেন। সংঘর্ষ শেষে লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট করতেন।

তারা আরোও বলেন- শুধু নিজের গ্রাম নয়, পাশের বোয়ালমারীর পরমেশ^র্দী গ্রামে গিয়েও সংঘর্ষ সৃষ্টি করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করতেন বাবলু। তার মূল পেশাই ছিল প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে উপার্জন করা। তবে পুলিশের ভয়ে রাতে তিনি বাড়িতে থাকতেন না। কাঁথা-বালিস ও মশারি নিয়ে কখনো পাট ক্ষেত আবার কখনো জঙ্গলে গিয়ে ঘুমাতেন। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনলো।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে খারদিয়া ছয়আনিতে অবস্থিত একটি গভীর জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে বাবলু ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গত ৫ মে খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত সিরাজুল হত্যা, সালথা উপজেলা পরিষদ ও থানা ভাঙচুর, দ্রুত বিচার আইন, পুলিশ বাদীসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৮টি মামলা রয়েছে। এসব মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন। তারমধ্যে তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন বিজ্ঞ আদালত। এরমধ্যে সিরাজুল হত্যার দায় স্বীকার করে আজ বুধবার (২৫ মে) বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন বাবলু ফকির।

(এন/এসপি/মে ২৫, ২০২২)