আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এতে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি জ্বালানিখাতও বেকায়দায় পড়েছে। বিক্রি কমে গেছে ‘উরালস ক্রুড অয়েলের’ (রাশিয়ার জ্বালানি তেল)। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি বিশ্লেষণ সংস্থা ভোরটেক্স জানিয়েছে, ৬০ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল নিয়ে রাশিয়ার বেশ কিছু জাহাজ সাগরে ভাসছে। ক্রেতা সংকটে এগুলোর বেশির ভাগই অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো একমত হতে পারেনি। কিন্তু রাশিয়ার তেলের ক্রেতা খুঁজে না পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভবিষতে নিষেধাজ্ঞার ভয়।

ভোরটেক্স জানায়, সাগরে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের পরিমাণ যুদ্ধ শুরুর আগের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালায় পুতিন প্রশাসন।

হস্টন ভিত্তিক জ্বালানি বিশ্লেষক ক্লে সিগল বলেন, খবরে বলা হচ্ছে রাশিয়ার তেল রপ্তানি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু বাস্তাব চিত্র ভিন্ন। কারণ সমুদ্রে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ তেল জমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সাগরে রাশিয়ার তেল নিয়ে যেসব জাহাজ ভাসছে তার ১৫ শতাংশের নির্দিষ্ট গন্তব্য নেই। এসব তেলের কিছু অংশ অপ্রকাশিত ক্রেতাদের কাছে যাবে।

জানা গেছে, রাশিয়ার অধিকাংশ তেল এশিয়া যাচ্ছে, বিশেষ করে চীন ও ভারতে। তাছাড়া রাশিয়ার তেলের একটা অংশ এখনো ইউরোপে যাচ্ছে।

(ওএস/এসপি/মে ২৫, ২০২২)