মো. সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে এক স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় মাধব চন্দ্র পাল (৩৩) নামে এক যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আট জনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাউদ হাসান এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুবককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত মাধব চন্দ্র পাল টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর এলাকার সুশীল চন্দ্র পালের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাধব পালের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা সত্যরঞ্জন পালের মেয়ে জেলা সদর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী বিথী রানী পালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাধব বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৫ সালের ১৫ মে স্কুলছাত্রী ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার পর সুস্থ হলে এলাকায় সালিশি বৈঠকে মাধবের সঙ্গে তার বিয়ের দিন ধার্য হয়। কিন্তু ফোনে বিথীকে জানায়, চাপে পড়ে বিয়েতে রাজি হয়েছে। বিয়ের পর শান্তিতে থাকতে দেবে না এবং ওই স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যা করতে বলে। ১৯ মে সকালে এই ফোন পাওয়ার পর বিথী কান্নাকাটি শুরু করে এবং তাদের বসতঘরে দরজা বন্ধ করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

নিহতের বাবা বাদী হয়ে ওই দিনই মাধব, তার বাবা সুশীল পাল, মা আলো রানী পালসহ ৯ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। আজ এ মামলার রায় হয়। রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ মামলার বাদীকে আইনি সহায়তা দেন।

(এসএএম/এএস/মে ২৫, ২০২২)