তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : ধর্ষণ মামলায় জামিনে কারামুক্ত হতে আদালতে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ে করলেন আসামি। মঙ্গলবার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে এ বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য আসামিকে কারাগার থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে বিয়ে অনুষ্ঠানের আগে বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ আসামি সাজন মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর এজলাসে বসেই বিয়ে পিঁড়িতে বসেন তারা। কয়েকজন আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশ ও দুই পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের সেরেস্তাদার জিয়াউল হক জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ আসামি চীফ জুডিসিয়াল আদালতে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু জামিন পাননি। পরে তিনি হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। মঙ্গলবার আদালত বিয়ের শর্তে আসামির আইনজীবি জহিরুল হক তুহিন জামিনের আবেদন করেন। মঙ্গলবার শুনানিকালে কারাগার থেকে আসামিকে হাজির করা হয় আদালতে। বাদী ভুক্তভোগী ওই তরুণীও হাজির ছিলেন। এ সময় আসামি আদালতে বিয়ে করতে রাজি আছেন বলে জানান। এরপর আদালত ভুক্তভোগীকে বিয়ে করার শর্তে আসামিকে জামিন দেন। এরপর এজলাসে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামী সাজন মিয়া ও ওই তরুণী একে অন্যের প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে গল্প-গুজব হতো তাদের মধ্যে এক পর্যায়ে সাজন মিয়া কৌশলে তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তরুণীকে অভিভাবক বিভিন্ন স্থানে খোজা-খুজি করে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর মূলে মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আজমীরিগঞ্জ থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোজাখোজি করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আসামী সাজন মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ৫ মাস জেলে থাকার পর বিয়ের শর্তে আসামীকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়।

(টিএইচ/এএস/মে ৩১, ২০২২)