রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের চাকুরীর মেয়াদ গত ৩০ মে শেষ হয়ে অবসরে গেলেও তিনি এখনো বহাল তবিয়তে অধ্যক্ষের চেয়ার ধরে রেখেছেন।যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা চলছে।

গত সোমবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা আরিন জাবেদ জয় সরকার তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন,মেয়াদউত্তীর্ণ খাবার,যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।ঠিক একইভাবে মেয়াদউত্তির্ণ অধ্যক্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর। গায়ের জোরে কোন অন্যায় সংগঠিত করবেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনা কোন অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেন না,জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। একইভাবে ফেসুবকে ওয়ালে লেখেছেন উপজেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের প্রচার সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেতু।

এদিকে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্বান্তমতে অবসরপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ আরো দু বছর বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কলেজ পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন হয়েছে কিনা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

কলেজের যাবতীয় কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করছেন উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন। সম্প্রতি ২০২০-২১ শিক্ষা বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সনদ(এইচএসসি) পাশের শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকে দেওয়া প্রশংসা পত্রে অধ্যক্ষের সিল স্বাক্ষরের বদলে উপধ্যক্ষের সিল স্বাক্ষর দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মাঝে কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীনের কাছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের বহাল তবিয়ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ার ধরে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সইদুল হকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকার মেয়াদ ২ বছর বৃদ্ধির জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছিল।সে পেক্ষেতি এক বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে সইদুল হকের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদনের পত্রটি চাইলে উত্তেজিত হয়ে উপধ্যক্ষ বলেন, এটা তো পাবলিকালি দেওয়া যাবে না। আপনাকে কেন দিবো ভাই?

অবসরপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ আলাউদ্দীন আল আজাদ গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে বলেন,রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আপনি যেহেতু বললেন বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

(কেএস/এসপি/জুন ০৭, ২০২২)