ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত ঠাকুরগাঁওয়ের বিমানবন্দরটি চালু ছিল স্বাধীনতার পরেও। তবে লোকসানের কারণে ১৯৭৯ সালের দিকে এখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিমানবন্দরটি এক বছর পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।মন্ত্রী আসে, মন্ত্রী যায়, দেওয়া হয় প্রতিশ্রুতি। বিমান বন্দরটি চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেও ৪১ বছরেও চালু হয়নি বিমানবন্দরটি। জেলাবাসির আজও দাবি এই বিমানবন্দরটি শীঘ্রই চালু করা হোক।

ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জে ১৯৪০ সালে ৫৫০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিমানবন্দরটি। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার সরকারি ও সামরিক কাজে ব্যবহার করতে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পাকিস্তান সরকার বিমানবন্দরের জমি আর্মি স্টেট হিসেবে ঘোষণা দিলে ১১১ একর জমি পায় সিভিল অ্যাভিয়েশন। ওই অংশে পরে ভবন ও রানওয়ে করা হয়। মাত্র বছর দুয়েক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালিত হলেও ১৯৮০ সালে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়।

৪১ বছর ধরে বন্ধ থাকায় বিমানবন্দরে তৈরী হচ্ছে ফসলের মাঠ। পরিত্যক্ত থাকায় বিমানবন্দরটির রানওয়ে সহ সকল সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিমানবন্দর চালু করার জন্য বার বার জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও চালু হচ্ছেনা বিমানবন্দরটি। এটি চালু হলে যাত্রী সেবার পাশাপাশি জেলায় বাণিজ্যিক প্রসার ঘটবে এমনি ধারনা স্থানীয় দের।
এরআগে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে আগমনে জেলায় নানা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপন হলেও বিমানবন্দরটির ব্যাপারে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দরটি চালুর দাবি ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মানুষের দীর্ঘদিনের। এ বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলমান। এটি চালু হলে যাত্রী সহ বাণিজ্যিক ভাবে অনেক উপকার হবে বলে মনে করেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।

(এফআর/এসপি/জুন ১৭, ২০২২)