ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে তোফায়েল আহমেদকে দল থেকে বহিস্কারের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি করেছেন নীলফামারীর ছয় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও বীরমুক্তিযোদ্ধারা। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব আমিনুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আহবায়ক আব্দুল জলিল, ডোমার উপজেলার সাবেক কমান্ডার নুরন্নবী, ডিমলা উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার শামসুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শামছুল হক প্রমুখ।

বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম বলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দীর্ঘ ৯ মাস পর দেশ স্বাধীন করতে সক্ষম হই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, বসতঘরসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। সেখানে রাজাকারপুত্র তোফায়েল আহমেদ মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত করার সাহস পায় কই থেকে। ডোমারের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরননবী অভিযোগ করেন ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ এর চিহিৃত যুদ্ধাপরাধীর সন্তান এবং সে নিজেও ফ্রিডম পার্টির ডোমারের সমন্বয়কারী ছিলেন।

চলতি বছরের ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে রাজাকার পুত্র তোফায়েল আহমেদ কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে তোফায়েল আহমেদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ ও লাঞ্চিত করে। একপর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে আসেন।

আসছে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের আগেই তোফায়েল আহমেদকে দল থেকে বহিস্কার করতে হবে। এখনি বিষয়টির সিদ্ধান্ত না নিলে রাজাকারপুত্র আগামী ১৬ ডিসেম্বর আবারো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলে এলে আমরা তা মানবো না। পাশাপাশি আমরা অনুষ্ঠান বর্জনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসুচী ঘোষণা করবো।

তিনি বলেন, এই ঘটনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবগত হলে তদন্তের মাধ্যমে তোফায়েল আহমেদকে ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন

(ওকে/এসপি/জুন ২১, ২০২২)