স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতু উদ্বোধন মহোৎসবের প্রস্তুতি শেষ। এখন শুধু ঘণ্টা গোণার পালা। প্রস্তুতির শেষ দিনে জমকালো মহড়ার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

সূর্য প্রায় মাঝ আকাশে, ঠিক তখনই পশ্চিম গগণে ধরা দিলো স্বপ্ন জয়ের গল্প। পদ্মার বুকে লাল সবুজের পতাকা উড়লো।

বিমানবাহিনীর মহড়ার শুরুতেই ছিলো লাল সুবুজের পতাকা, যা বাঙালির আত্মমর্যাদা ও সক্ষমতার জানান দেয়।

বিমানবাহিনীর পাঁচটি হেলিকপ্টারের দ্বিতীয়টিতে ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত পতাকা। অসীম আকাশে পাখা মেলে এটি জানান দিয়ে গেলো অদম্য বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা অসম্ভব।

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যার দৃঢতায় স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু, বিমানবাহিনীর এই মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনীর তৃতীয় হেলিকপ্টারে ছিলো সেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত প্রতাকা।

চতুর্থ ও পঞ্চম হেলিকপ্টার বহন করে স্বপ্নজয় ও জাতীয় স্লোগান জয় বাংলা সম্বলিত পতাকা। যেন কোটি বাঙালিকে আরেকবার সম্মিলিত বিজয় উল্লাসে সামিল হওয়ার ডাক দিয়ে গেলো।

এভাবেই নীল আকাশে লাল সবুজের আবিরে ফুটিয়ে তোলা হয় বাংলাদেশের পতাকার অবয়ব।

মহড়ার শেষ দিকে হাজির হয় যুদ্ধবিমান। এটি গর্জন তুলে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যাওয়ার গল্পের জানান দিলো যেন।

পদ্মার আকাশে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অ্যারোবেটি ডিসপ্লেটি ও ফ্লাই পাস মন্ত্রমুগ্ধ করে অপেক্ষমান পদ্মা পাড়ের মানুষকে।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে জমকালো আয়োজনে মুখরিত পদ্মার তীর। দুই তীর এখন উচ্ছ্বাসে মুখরিত। জমকালো আয়োজনে সেতু খুলে দেওয়ার অপেক্ষায় সারা দেশ।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোল চত্বর থেকে কাঁঠালবাড়িয়া পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে শত শত তোরণ। রাস্তার দুই পাশ ও মাঝ দিয়ে ছেয়ে গেছে হাজারও রঙিন বিলবোর্ডে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব তোরণ ও বিলবোর্ড স্থাপন করেন।

(ওএস/এএস/জুন ২৫, ২০২২)