অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে যেন উৎসবের আমেজ। চারিদিকে সাজ সাজ রব। ব্যানার ফেস্টুন আর চোখ ধাধানো আলোকসজ্জায় সেজেছে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যায় আতশবাজী ফুটিয়ে জানান দেওয়া হয় পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের খবর। মানুষের মুখে মুখে পদ্মা সেতুর জয়গান। আর এভাবেই ঝিনাইদহে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ঝিনাইদহে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি মুক্তমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম (পিপিএম), জেলা পরিষদের প্রশাসক কনক কান্তি দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও দিনভর নানা অনুষ্ঠান মালা, আতশবাজি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে গ্রাম থেমে আসে নান্নুমিয়া। তিনি সঙ্গে এনেছেন তার ছোট মেয়েকে। আরাপপুরের বাসিন্দা সুনীল পাল তার নাতিকে নিয়ে আলোকসজ্জা দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মুখে অস্ফুট হাসি। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি প্রতিকী পদ্মাসেতু দেখতে শহরের পায়রা চত্বরে যান। এ ভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঝিনাইদহ শহরে ছুটে আসেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে। সব শ্রেনী পেশার মানুষের অংশগ্রহনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উৎসবে পরিণত হয়।

(একে/এসপি/জুন ২৫, ২০২২)