ওয়াজেদুর রহমান কনক,  নীলফামারী :  তিস্তার নদীর পানি কমে নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যে নদীবেষ্টিত বিভিন্ন এলাকার বন্যার পানি নেমে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বুধবার থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করে।

গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বুধবার থেকে পানি কমতে শুরু করে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ায় তাঁর ইউনিয়নের সব বাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। এখন পরিস্থিত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ১২ জুন থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর-নিচে ওঠানামা করছিল। ১৭ জুন সকালে প্রথমবারের মতো বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ২০ জুন বিকেলে সেখানে সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। বুধবার থেকে দফায় দফায় পানি কমে আজ বেলা তিনটায় ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছ।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা চরে

পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজ সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ১৫ মিটার, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ১২ মিটার, দুপুর ১২টায় ৫২ দশমিক ১০ মিটার ও বেলা ৩টায় ৫২ দশমিক শূন্য ৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল, যা বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচে আছে।

ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, তিস্তার পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আজ বেলা তিনটায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

(ওকে/এসপি/জুন ২৫, ২০২২)