বিনোদন ডেস্ক : জীবনে যত টাকাই উপার্জন করা হোক না কেন প্রথম উপার্জনের স্বাদ কখনো ভোলা সম্ভব না। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। কারণ প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ এটি। আর এই স্মৃতি সবার কাছেই মহামূল্যবান। হোক সে সাধারণ কেউ অথবা কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্ব।

তবে প্রথম উপার্জনের টাকা দিয়ে কোনো সাধারণ মানুষ কী করেছেন সেটা জানার আগ্রহ কারো থাকে না। কিন্তু সেটা যদি হয় কোনো সেলিব্রেটি অথবা কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্ব তবে আগ্রহের কোন সীমা থাকে না। সে কী করেছে, কী কিনেছে সেটা জানার জন্য থাকে আলাদা আগ্রহ।

আর সেই আগ্রহের কথা মাথায় রেখেই আজ আপনাদের জানাব এমন একজনের কথা। যাকে বলা হয় বলিউডের ডিম্পল গার্ল। বলছি আলিয়া ভাটের কথা। নিজের প্রথম উপার্জনের টাকা হাতে পেয়ে কী করেছিলেন আলিয়া?

২০১২ সালে করণ জোহরের হাত ধরে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় আলিয়া ভাটের। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। ঝুলি ভরেছে একের পর এক হিট সিনেমায়। এখন তিনি শুধু বলিউডে নয় আরব সাগর পেরিয়ে পা রেখেছেন হলিউডে। এমনকি এই মুহূর্তে বলিউডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাদের তালিকায় প্রথম সারিতেই আসে তার নাম।

তবে এত প্রাপ্তির পরও তিনি জানালেন তার জীবনের প্রথম উপার্জনের সেই অনুভূতির কথা। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানান তার সেই অনুভূতির কথা।

তিনি বলেন, একটি দামি ব্যাগ নিজেকে উপহার দিই আমি। আসলে সুন্দর সুন্দর ব্যাগের উপর আমার বড্ড লোভ! আর ভালোবাসি জিমে যাওয়ার বাহারি প্যান্ট।

তবে শুধুই কি ব্যাগ আর জিমে পরার জামা তার পছন্দের তালিকায়? মোটেই নয়, ভ্রমণপ্রেমী আলিয়া বছরে একবার বেড়াতে যান। সেখানেও জমিয়ে খরচ করেন। তার কথায়, ‘হোটেলে থাকাতেই আমি খরচ করি বেশি। তবে বেড়াতে গিয়ে কেনাকাটা করতে মোটেই পছন্দ করি না।

তিনি আরও জানান তার বিশেষ দুটি শখের কথা। ব্যক্তিগত বিমান আর পাহাড়ের কোলে একটা ছবির মতো বাড়ি। সেই সঙ্গে আশাও রাখেন কোনো না কোনো দিন নিশ্চয়ই এ দুটো জিনিসও তার হবে!

(ওএস/এসপি/জুন ২৭, ২০২২)