যাঁকে উদ্দেশ্য করে লেখা : শহীদ জয়গুরু বিশ্বা্স, পিতা: ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র বিশ্বাস মাতা: প্রমিলা বিশ্বাস মহল্লা : বনগ্রাম ডাকঘর: বেড়া, জেলা: পাবনা ।যিনি লিখেছেন : বীর মুক্তিযোদ্ধাদেবেশ চন্দ্র সান্যাল পিতা: দ্বিজেন্দ্র নাথ সান্যাল মাতা : নিলীমা সান্যাল গ্রাম ও ডাকঘর: রতন কান্দি, উপজেলা : শাহজাদপুর, জেলা : সিরাজগঞ্জ।

প্রিয় জয় গুরু

পত্রে আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাঞ্জলী গ্রহন করবেন। আশা করি ভগবৎ কৃপায় স্বর্গালোকে শান্তিতে আছেন। পাকিস্তানি হায়েনা সৈন্যরা তাদের এদেশীর দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও অন্যান্য বাহিনীর সহযোগীতায় ২৫ র্মাচ’৭১ রাতে “অপারেশণ সার্চ লাইট” নামক নৃশংসতম জ্বালাও, পোড়াও ও পাখির মত মানুষ হত্যা সহ বিভিন্ন মানবতা বিরোধী কাজ করেছে। পাকিস্তানি হায়েনেরা আত্মসমর্পণ করার পূর্ব - মুহুর্ত পর্যন্ত সারা দেশে জ্বালাও পোড়াও, হত্যা, গণহত্যা, নারী, ধর্ষণ, লুটতরাজ সহ অন্যান্য নির্মম মানবতা বিরোধী কাজ করেছে। ৩ ডিসেম্বর’৭১ পাকিস্তান যখন ভারতীয় বিমান ঘাটিতে আক্রমন করলো। তখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আর ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ এক হয়ে গেল। যৌথ বাহিনী দুর্বার গতিতে পাকিস্তানি হানাদার সৈন্য ও তাদের এদেশীয় দোসরদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। যৌথ বাহিনী শপথ করলো- জাতির পিতার মৃত্যু দন্ডাদেশ কার্যকরী করার পূর্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ কয়েকটি দেশ পাকিস্তানের পক্ষ নিয়োছিল। যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর ছেড়ে ছিল। সকল ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে আমাদের যৌথ বাহিনী জল, স্থল ও বিমান আক্রমনের মাধ্যমে পাকিস্তানি সৈন্য দেরকে পরাজিত করে আত্ম সমর্পণ করতে বাধ্য করেছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র দুদিন পূর্বে- ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের সহযোগীতায় আলবদরেরা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল।

তারা ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িতে বাড়িতে হানাদিয়ে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে প্রথমে টর্চার সেলে রেখে নিষ্ঠুরতম অত্যাচার করেছিল। বুুদ্ধিজীবীদের জীবিত অবস্থায় চোখ তুলে ছিল। কত যে কষ্ট দিয়ে ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মত ভাষা আমার জানা নাই। ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদররা ৩০ জন বুদ্ধিজীবী শহীদের লাশ রায়ের বাজার ও মিরপুর বধ্য ভূমিতে ফেলে রেখে ছিল। দেশ স্বাধীন হচ্ছে বুঝে পাকিস্তানি হানাদার দোসরেরা ১৫ ডিসেম্বর থেকে দেশও বিদেশের পালিয়ে ছিল। অনেকে দেশের মধ্যে আত্ম গোপন করেছিল। ২১ নভেম্বর’৭১ মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী নিয়ে যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়েছিল।

৭ সেপ্টেম্বর’৭১ চার মাসাধিক কাল প্রহসন মূলক বিচার চালিয়ে পাকিস্তানি সামরিক আদালত আমাদের জাতির পিতার মৃত্যু দন্ডাদেশ দিয়েছিল। ভয় দেখিয়ে আপোষ করতে বাধ্য করার কৌশল হিসেবে জাতির পিতার সেলের পাশে করব খুরে দেখিয়ে ছিল। কোন ভয় ভীতিতেই জাতির পিতা আপোষ করেন নাই। “তিনি বলেছিলেন আমাকে হত্যা করা হলে আমার লাশটি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিও।” দেশও দেশের মানুষকে তিনি কত ভাল বাসতেন। ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারতের বিমান ঘাটিতে আক্রমন চালিয়ে ছিল।

৬ ডিসেম্ব’৭১ প্রথমে ভুটানও পরে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আমি ভারতে শিলিগুড়ি জেলার পানিঘাটা নামক হায়ার ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং করে ছিলাম। আমার এফ,এফ নং-৪৭৪২। ৭ নং সেক্টরের তরঙ্গপুর থেকে গেরিলা গ্রুপ করে আমাকে একটি গ্রুপের সাথে দেশের অভ্যন্তরে পাঠিয়েছিল। আমি দেশের অভ্যন্তরে এসে বেলকুচি থানা আক্রমন যুদ্ধ, কালিয়া হরিপুর রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন রাজাকার ক্যাম্প এ্যাম্বুুস বেলকুচি থানার কল্যানপুর যুদ্ধ ও শাহজাদপুর উপজেলার ধীতপুর নামক স্থানে পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেছি। আমরা সকল যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি।

১৬ ডিসেম্বর’৭১ পাকিস্তানি হানাদার শত্রুরা ৯১,৫৪৯ জন সৈন্য নিয়ে মাথা নিচু করে বিকাল ৪-২০মি, যৌথ বাহিনীর কাছে আত্ম সমপর্ণ করে ছিল। পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্ম সমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছেল। আমার কারনে রাজাকারদের আলটি মেটামে আমার গোটা পরিবার ভারতের আসামের মানিকার চর শরণার্থীর ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়ে ছিল। বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রবাসী সরকারও আন্তর্জাতিক চাপে ৮ জানুয়ারী’৭২ জাতির পিতা কে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। জাতির পিতা মুক্তি হওয়ার পর জুলফিকার আলী ভুট্টো জাতির পিতা সাথে সাক্ষাৎ করেছিল। তার পর বিশেষ বিমানে তাকে লন্ডনে পাঠানো হয়। বৃটিশ প্রধান মন্ত্রী এডওয়ার্ড স্মিত এর সঙ্গে ৯ জানুয়ারী’৭২ বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ হয়।

১০ জানুয়ারী’৭২ বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে আসার পথে ভারতের দিল্লীতে যাত্রা বিরতি করেন বিমানবন্দর ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও প্রধান মন্ত্রী শ্রী শ্রী ইন্দিরা গান্ধি তাঁকে স্বাগত জানান। মুক্ত হয়ে রাশিয়ার লন্ডন ও ভারতের নয়া দিল্লীতে বাংলাশেদের স্থপতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধি নায়ক বাঙালিদের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে সংবর্ধণা নিয়ে ১০ জানুয়ারী’৭২ জাতির পিতা দেশে এসে ছিলেন। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গোটা জাতি যে সম্মাননা দিয়ে তাঁকে বরণ করেছিলেন। তা বিশে^র ইতিহাসে বিরল। জাতির পিতা মানুষের উপস্থিতি দেখে সকলকে বলার জন্য বিমানবন্দর থেকে চলে যান রেসর্কোস ময়দানে ( বর্তমানে সোহরাওয়াদী উদ্যান) সেখানে তিনি ভাষণদেন “জাতির প্রতি কৃজ্ঞ জানান কারাগারে তাঁর দুর্দশা ফাঁসিদেয়ার ষড়যন্ত্র কবর খুরে দেখানোর কথা ইত্যাদি বিষয়ের সংক্ষিপ বর্ণনা করেন। ১১ জানুয়ারী’৭২ জাতির পিতা অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন। ঐ আদেশের যান মধ্যমে দেশে তিনি সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

১২ জানুয়ারী’৭২ জাতির পিতা প্রধান বিচার পতির কাছে প্রথমে দেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং সাথে সাথে পদত্যাগ করে প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জাতি উপহার পায় সংসদায় গণতন্ত্র পদ্ধতি। ১২ জানুয়ারী’৭২ শুরু হয় জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসণ আসন। তিনি যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। ভারতের আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দেশে ফিরে আসেন। শরণার্থীদের চাল,গম ও অন্যান্য সহযোগিতা করে পুনর্বাসিত করেন। পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালি সৈনিকদের দেশে ফিরিয়ে আনেন। জাতীয় পতাকা আমাদের ভূখন্ডের মান-চিত্র সরিয়ে শহীদের রক্তের প্রতীকি হিসেবে সবুজের বুকে সূর্যাকৃতির লাল বৃত্ত বসানোর বিধি চালু করেন। আমি যখন আমাদের জাতীয় পতাকাটি কে পত পত করে উড়তে দেখি তখন আপনাদের কথা স্মরণ হয়। ঐ পতাকায় আপনাদের রক্ত দেখতে পাই।

১৭ জানুয়ারী’৭২ জতির পিতার এ নির্দেশ টি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি লাভ করেছে। জাতির পিতা ৫ সেপ্টেম্বর’৭২ মুক্তিযোদ্ধাও শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনর জন্য সরকারি চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ কোটার বিধান চালু করে ছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী’৭২ জাতির পিতা আমাদের কল্যানের জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নামের একটি সংগঠন গড়ে দিয়েছেন। আপনাদের স্মরণের জন্য ১২ জানুয়ারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা করেছেন। একটি যুদ্ধ বিধবস্ত দেশের উন্নয়নের সকল সেক্টরে প্রভুত উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতা বিরোধীরা, কিছু বিশ্বাসঘাতক মানুষ ও আমলারা একত্রিত হয়ে অভ্যন্তরিন ও আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর। কিছু উশৃংখলা কিছু কর্মকতা জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংস ভাবে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে শহীদ পরিবার, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, গণ ধর্ষণের শিকার মা-বোনদের, পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসরদদের দ্বারা জ্বালাও, পোড়াও ও অন্যান্য নির্যাতিত নিপিড়িতদের আর্থিক অনুদান দিয়েও অন্যান্য ভাবে সহযোগীতা করেন। আমাদেরকে অস্ত্র জমা দিতে বলেন। ভারতীয়- সৈন্যদেরকে দেশ থেকে চলে যেতে বলেন।

আমরা অস্ত্র জমা দেই। ভারতীয় সৈন্যরা সর্বশেষ ১২ মার্চ’৭২ আমাদের প্রধান মন্ত্রী জাতির পিতাকে কুজকাওয়াজের মাধ্যমে স্যালুট দিয়ে ভারতে চলে যান। জাতির পিতা আমাদের কে পুনর্বাসন করার জন্য ন্যাশনাল মিলেশিয়া ক্যাম্প করেন। মার্চ’৭২ মাসে মিলেশিয়া ক্যাম্প বন্দ করে যোগাত্য অনুসারে চাকুরীদেন এবং পড় লেখায় সহযোগীতা করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসংস্থানও দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রর্ক্ষা- রক্ষী বাহিনী গঠন করেন। আপনার মা ও বোন আপনার জন্য সব সময় কান্না কাটি করতো। আমি প্রায়ই আপনার মায়ের কাছে যেতাম সবাইকে শান্তনা দিতাম। আমি বুূঝিয়ে বলতাম- আপনি একজন গর্বিত গর্ভ ধারিনী মা, আপনার ছেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকাদের বিরুদ্ধ যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন। আমি সহ এদেশের সকল সন্তান আপনার সন্তান। আপনার ছেলের আত্মা স্বর্গে শান্তিতে আছে। সন্তান হারা মা,বোন ও অন্যান্যরা কত যে কেঁদেছে তা,লিখে প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নাই। জাতির পিতা তাঁর ভরন পোষণের সকল দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন।

জাতির পিতা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ষ্ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শহীদেদের সম্মানে জাতির পিতা ১২ জানুয়ারী’৭২ জাতীয় পতাকা থেকে আমাদের ভূখেন্ড মান চিত্র সরিয়ে শহীদের রক্তের প্রতিকা হিসাবে সবুজের বুকে সূর্যে কৃত্তির বৃত্ত শেষে বিধি করেন। ১৫ আগষ্ট’৭২ স্বাধীনতা বিরোধীতা ৩০ লক্ষ শহীদ,দুই লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম,৪ লক্ষাধিক মা-বোন কে অন্যান্য নির্যাতন, নিপিড়ন ও স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া কোটি কোটি মানুুষের বিভিন্ন ত্যাগের বিনিময়ে অজির্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা কেড়ে নেয়। বিশ^াস ঘাতক এই শাসকেরা আমাদের প্রানের রনাঙ্গনের “ধবণী জয় বাংলা” এর পরিবতে পাকিস্তানের ধবণী “জিন্দাবাদ” প্রতিষ্ঠা করে। জাতির পিতা হত্যার বিচার চাওয়া যাবেনা মর্মে বিশ্বাসঘাতক খোন্দকার মোসতাক আহম্মদ ইমডেমনিটি (দায় মুক্তি ) অধ্যাদেশ জারী করে। ৩ নভেম্বর’৭৫ সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলের মধ্যে জাতীয় চার-নেতা কে হত্যা করে। ৯ জুলাই’৭৯ তারিখে কুখ্যাত মানবতা বিরোধী ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ টি সংসদে পাশ করে আইনে রুপান্তর করে।

আপনাদের রক্তে লেখা (শহীদের রক্তে লেখা) সংবিধান কে কেটে বিশ^াস ঘাতকেরা রক্তাক্ত করেছে। ওরা মুক্তিযুদ্ধের চেহনাকে ধবংস করে পাকিস্তানি চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জাতির পিতা প্রদত্ত চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরণ করে নাই। অনেক সংগ্রামে ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জন সাধারণের স্বত:স্ফুত ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতা পেয়েই শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চালূ করেন স্বাধীনতা বিরোধীরা সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাতু সহ চার দলীয় ঐক্য জোট ক্ষমতায় যায়। অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধেদ বিজয়ের মাস ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ গণ ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা ফিরিয়ে পেয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার যোগ্য উত্তর সুরি। মানবতার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বোচ্চ করে চলেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মনী ভাতা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে মাসিক ২০,০০০ টাকায় উন্নীত করেছেন।

স্বাধীনতা বিরোধীদের হাজারো ষড়যন্ত্র পিছু ফেলে এগিয়ে চলেছেন। তিনি ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বৈদেশিক সাহায্য ছাড়াই বাঙালিদের অর্থায়নের পদ্মা সেতু করেছেন। তিনি সকল গৃহহীনে গৃহ নির্মান করে দিচ্ছেন। তিনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস করে দিচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়ন শীল দেশে উন্নীত করেছেন। তিনি দেশের সকল সূচকে সফলতা অর্জন করেছেন। আপনার মা পুত্র শোকে প্রায় পাগল হয়ে গিয়ে ছিলেন। দিন রাত কান্না করতে করতে তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। আপনার শহীদি আত্মার চির শান্তি কামনা করে শেষ করছি। আমাদের বড় দুঃখ আপনাদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন দেশের সূর্যোদয় আপনারা দেখে যেতে পারেন নি।

ইতি
আপনার বন্ধু দেবেশ চন্দ্র সান্যাল।