স্পোর্টস ডেস্ক : নেতৃত্বের চাপে ব্যাটিংটাই ভুলে যাচ্ছেন মুমিনুল হক। এ কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে নিজেই সরে দাঁড়ান তিনি। পরিবর্তে অধিনায়ত্বে তৃতীয়বারের মত ফিরিয়ে আনা হয় সাকিব আল হাসানকে। দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞতম ক্রিকেটারের কাঁধেই টেস্টের নেতৃত্ব।

তবে, সাকিবের নেতৃত্বে ফিরে আসাটা সুখকর হলো না। নিদারুন ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে যথাক্রমে ৭ ও ১০ উইকেটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।

তবে, সাকিব আল হাসানের কাঁধে নেতৃত্বের দায়িত্ব আসাটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আজ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সাকিবের নেতৃত্ব পাওয়া এবং দলের অবস্থা নিয়ে কথা বলছিলেন মাশরাফি।

সাকিবকে অধিনায়কত্বের পদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব যে অধিনায়ক হয়েছে এটা আমি মনে করি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এ কারণে মনে করি, টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও পারফর্মারের হাতে অধিনায়কত্ব থাকা উচিত এবং সেটা আছে (বাংলাদেশে)।’

তবে সাকিব অধিনায়ক হয়ে গেলেই যে রাতারাতি সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে তেমনটা নয়। মাশরাফি বলেন, ‘আমি যেটা বললাম, রাতারাতি কোনো কিছু চিন্তা করলে হবে না। সাকিবের হাতে গেছে মানে জিতে যাবো, এটা কোনো ফ্লুক না। বাকি ১০জনকেও পারফর্ম করতে হবে। সুতরাং সাকিবকে একটু সময় দিতে হবে। সে জিনিসটাকে গুছিয়ে নিয়ে যখন সামনে অগ্রসর হবে তখন দেখবেন জিনিসটা স্তে আস্তে হয়েছে। সার সাকিব যেটা কালকে বলেছে হোমে জিততে হবে, এটা কিন্তু অবশ্যই সত্যি কথা।’

সাকিবকে সময় দিতে হবে। তাহলে মাশরাফির বিশ্বাস সব বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন তিনি। মাশরাফি বলেন, ‘ওকে (সাকিবকে) সময় দিতে হবে। আমার বিশ্বাস সময় দিলে, এটা (এই বাজে অবস্থা) আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো আবার। কিছুটা সময় লাগবে। কারণ আপনি অনেক দূর পিছিয়ে গেছেন, আবার সামনে এগোতে গেলে, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট...।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের এই বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে ডিউক বলে খেলাটাও বড় কারণ বলে মনে করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আরেকটা কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডিউক বলে খেলা, যেটায় আমরা অভ্যস্ত না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড এই দুই জায়গায় কিন্তু ডিউক বলে খেলা হয়। ডিউক বলে মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন। এগুলো সব বিবেচনায় নিয়ে..., আপনি হুট করে দলকে চাপ দিলেও হবে না।’

সাকিবের প্রতি মাশরাফির কী বার্তা রয়েছে? সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আগেও বললাম সবচেয়ে অভিজ্ঞ মাথা, যাকে আমরা পেয়েছি। সুতরাং সাকিবকে বার্তা দেওয়ার কিছু নাই। সাকিব জানে কীভাবে দল পরিবর্তন করতে হবে। এর আগেও দুইবার সে অধিনায়কত্ব করেছে। আমি মনে করি সাকিব সব জানে কিভাবে সামলাতে হয়। মানে কিভাবে পরিবর্তন করতে হবে দলটাকে। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে পরিকল্পনার বিকল্প কিছু নেই। পরিকল্পনা না করলে অন্তত এই ফরম্যাটে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। হ্যাঁ ফ্লুক (মাঝে মধ্যে জেতা) হয়তো পাবেন একটা-দুইটা ম্যাচ জিতবেন মাঝখানে। কিন্তু গ্রাফটা উপরের দিকে যাচ্ছে কি না সেটা বুঝতে অনেক সময় লেগে যাবে।’

(ওএস/এএস/জুন ২৯, ২০২২)