মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : সাম্প্রতিক সময়ে অতি ভারীবৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তীব্র দুর্ভোগে থাকা বানবাসী মানুষের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম। 

বুধবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টার দিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে সিলেটের ডিআইজি জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

পরে কুলাউড়া থানার উত্তর বাজার এলাকায় বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়া ১৫০ টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এর পর সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজেলার বেলাগাঁও ও নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রিত ১৫০ টি বানভাসি পরিবার ও বিকাল ৩ ঘটিকায় বড়লেখা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ৩৫০ টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসহ মোট ৬শত ৫০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। বিতরণকৃত ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চিড়া, বিস্কুট, চিনি, দুধ, মোমবাতি, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ঔষধ, দিয়াশলই ও খাবার প্লেট।

ত্রাণ বিতরণ শেষে ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন,পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো দুর্যোগ দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এবারের ভয়াবহ বন্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, ও বড়লেখার ভানবাসী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য: বন্যা মোকাবিলায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পক্ষে থেকে ইতিপূর্বে ৪ হাজার ৫শত প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী, ৭ হাজার ৯শত প্যাকেট শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বন্যা দুর্গত এলাকায় ১০ হাজার মানুষের মধ্যে রান্নানকরা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন এন্ড ফাইন্যান্স) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) এ,বি,এম, মুজাহিদুল ইসলাম পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস ছালেক, জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী ও বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

(একে/এসপি/জুন ৩০, ২০২২)