একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফয়েজ বিশ্বাসকে (৫০) ভ্যান গাড়িতে বাড়ি যাবার পথে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এর আগেও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালুখালি উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুম্বলমাঠ এলাকায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

নিহত ফয়েজ বিশ্বাস পাংশা উপজেলার পট্টা ইউনিয়নের বিলমন্ডম গ্রামের আবদুল হামিদ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। আগেও একবার তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ফয়েজ বিশ্বাস বাহের মোড় এলাকায় চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় তার মোবাইলে ফোন আসলে তিনি কথা বলা শেষ করে একটি ভ্যানে করে চায়ের দোকান থেকে বের হয়ে যান। কিছু দূর যাওয়ার পর সাওরাইল ইউনিয়নের কুলম্বমাঠ নামক এলাকায় পৌঁছালে ফাঁকা মাঠ থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত রাস্তায় উঠে এসে তার গতিরোধ করে তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করে। স্থানটি বাহের মোড় থেকে আধা কিলোমিটার ও তার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে রাতে ফয়েজ ও একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেবেশ শীলকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। তাদের ফোন করে আঁধারকোটা মোড় নামক এলাকায় ডেকে নিয়ে গুলি করা হয়। দেবেশ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান ফয়েজ।

পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রব মুনা বিশ্বাস বলেন, এর আগেও আমার ইউনিয়নের দুইজন ইউপি সদস্যকে ডেকে নিয়ে গুলি করা হয়। সে সময় একজন নিহত হয়। প্রাণে বেঁচে যান ফয়েজ। আজ সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। ফয়েজ সক্রিয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডটি পূর্বশত্রুতা বা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটতে পারে। তদন্ত চলছে।

(একেএমজি/এসপি/জুন ৩০, ২০২২)