আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : পাঁচ লাখ টাকা চেক ডিজঅর্নার মামলায় একবছরের সাজা হয় টুম্পা বাড়ৈর (২৮)। পুলিশ ২০২১ সালের ৩০ জুন টুম্পাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

ওই সময় টুম্পা বাড়ৈ অন্তঃস্বত্তা ছিলেন। পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় ওই চেকটিতে মামলার বাদী প্রতিবেশী এনামুল কাজী ষড়যন্ত্র করে তার (টুম্পা) কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায় করে নিয়েছে। বিষয়টি আদালতের বিচারক শতভাগ নিশ্চিত হয়ে অবশেষে টুম্পাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন।

তবে একবছর বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকাবস্থায় টুম্পা যমজ শিশু জন্ম দিয়েছেন। জেলখানায় জন্ম নেয়া তার ছেলের নাম রাখা হয় সাগর এবং মেয়েটির নাম সাগরিকা। বর্তমানে তাদের বয়স ১১ মাস। মায়ের সাথে তারাও কারাগারে ছিল। কারাগারের পরিবেশ থেকে মায়ের সাথে মুক্ত হয়েছে যমজ দুই সন্তান সাগর ও সাগরিকা।

বুধবার দিবাগত রাতে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন বিকেলে মুক্ত হওয়ার পর অপরাধ সংশোধন এবং পুনর্বাসন সমিতির পক্ষ থেকে সাগর ও সাগরিকাকে আর্থিক সহায়তা এবং টুম্পা বাড়ৈকে একটি সেলাই মেশিন দিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের হৃদয় পান্ডের স্ত্রী টুম্পা পান্ডে কারাগারে থাকাবস্থায় সেলাই মেশিনের কাজ শেখেন। তিনি এখন ভালোভাবে মেয়েদের পোশাক বানাতে পারেন।

জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, অপরাধ সংশোধন এবং পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামী ও কয়েদীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যাতে করে তারা মুক্ত হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। এজন্য তাদের আর্থিক সহায়তাও করা হয়। এরপর তাদেরকে ফলোআপে রাখা হয়। এভাবে বহু আসামী ও কয়েদী বর্তমানে অপরাধ থেকে সরে ভালোভাবে জীবনযাপন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় টুম্পাকেও আর্থিক সহায়তাসহ পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে একটি সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে।

(টিবি/এসপি/জুন ৩০, ২০২২)