রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ : খুলনায় সোনালী ব্যাংকের উধ্বর্তন কর্মকর্তার অমানবিক আচরণ ও কর্মকান্ডে সোনালী ব্যাংক বটিয়াঘাটা শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার প্রবীর কুমার সাহার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহষ্পতিবার ভোরে নগরীর দোলখোলার বাসায় তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এদিন দুপুরে তার অন্ত্রেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। 

তার স্ত্রী তমা সাহা জানান, অফিসে কাজের চাপ থাকায় ২৮ জুন রাত রাত ১টায় অফিস থেকে বাড়ীর উদ্দ্যেশে আসেন। আবার পরদিন ২৯ জুন সকালে অফিসে গিয়ে তিনি কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তারপেরও তাকে অফিসের কাজ শেষ করে রাত ৮ টার পরে বাসায় আসতে হয়েছে।

তার স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, প্রবীর সাহা অফিসে অসুস্থ্য হলেও ছুটি দেননি ম্যানেজার। এমনকি তাকে সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবারেও খুলনা জেনারেল ম্যানেজারের নিদের্শে অফিসের কাজ করতে হতো। গত ২৬ জুন থেকে জুন ক্লোজিংয়ের কথা বলে তার উপর জিএম অফিস অতিরিক্ত চাপ দেন। কিন্তু সে সহ্য করতে না পারায় মানসিক চাপে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বৃহষ্পতিবার সকালে মারা যায়। প্রদীপ সাহার মৃত্যুর জন্য জিএম অফিসের অনৈতিক ও অমানবিক চাপকে দায়ী করে সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবী জানান তারা।

খুলনা সোনালী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, ব্যাংকের জেনারেল ম্যনেজার মো: শফিকুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অমানবিক আচরন ও কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। জি.এম. তার ইচ্ছেমত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সরকারী ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবারেও কাজ করতে বাধ্য করেন। এমনকি তার অপচ্ছন্দের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নানানভাবে জিএম শফিকুল ইসলামের হয়রানির শিকার হতে হয়। তার অন্যায় আচরনের কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারছেন না।

সোনালী ব্যাংক বটিয়াঘাটা শাখার মানেজার-মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, প্রবীর সাহা অফিসে অসুস্থ্য হয়েছিলেন সে বিষয়টি আমাকে জানাননি। এছাড়া শুক্রবার ও শনিবার কাজ করতে হয়েছে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায়। বিশেষ করে অর্থবছরের ক্লোজিংয়ের কারনে গত কয়েকদিন অনেক রাত অবধি কাজ করতে হয়েছে। তবে প্রবীর সাহার প্রতি অন্যায় আচরনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

সোনালী ব্যাংক খুলনার জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলাম উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, সরকারী ছুটির দিন শুক্রবার-শনিবার কাজ করা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। জেনারেল ম্যানেজারের অফিস কোন নির্দেশনা দেয় না। তবে হেড অফিসের ও মিনিষ্ট্রির নির্দেশনায় অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। বিশেষ করে অর্থবছরের ক্লোজিংয়ের কারনে গত কয়েকদিন অনেক রাত অবধি কাজ করতে হয়েছে। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি খারাপ আচরন ও অমানবিক কর্মকান্ডের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, প্রদীপ অফিসে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সেটা জানা নেই, এমনকি কেউ তার সাথে অমানবিক আচরন করার অভিযোগ করলে সেটা সঠিক নয় বলে জানান তিনি।

(আর/এসপি/জুলাই ০২, ২০২২)