উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো লবি রহমা কুকিং ফাউন্ডেশনের দিনব্যাপী রান্না বিষয়ক কর্মশালা।  চাঁদপুরের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখা বিভিন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে লবী রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিলো : বেকিং, কুকিং এবং ডেজার্ট আইটেমের ওপর কর্মশালা। শুক্রবার ০১ জুলাই সকাল থেকে চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদ ভবনের মিলনায়তনে দিনব্যাপী প্রায় অর্ধশতাধিক উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে দুই পর্বে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার শেপ টনি খান,  সেলিব্রেটি শেপ লবি রহমান, পাউলিন ডি রোজারিও, নয়ানা আফরোজ, সিরাজুম মুনিরা, সুলতানা কবির ও  লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি শারমিন সুলতানা জুঁই। সহযোগিতায় ছিলেন লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্যবৃন্দ ও আমরা আলোকিত নারীর সদস্যবৃন্দ।

কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, রান্না একটি শিল্প। আমরা রান্নাটাকে কম লোকেই বুঝি। আমরা খেতে তো পারি, খেতে হয়তো অল্প সময় লাগে কিন্তু এই সুস্বাদু খাবারটা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। এই জায়গাটা পরিষ্কার বিজ্ঞানের মত। রান্না করার সময় অনেকগুলো ধাপ অনুসরন করতে হয়। রান্না সময় সতর্ক থাকতে হয় এবং সেখানে লুকোচুরির কোন সুযোগ থাকে না। এত সতর্কতার সাথে রান্না করে পরিবেশিত খাবার যখন আমরা খাই হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে খেয়ে ফেলি। কিন্তু এর পেছনে যে একজন রন্ধন শিল্পীর সতর্কতা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা রয়েছে সেটি মনে রাখতে হবে। রন্ধন শিল্প একটা সমৃদ্ধির বিষয়। আপনারা যে জায়গাতে কাজ করবেন সেখানে সমৃদ্ধি অর্জন করবেন কারণ এটা খুবই প্রয়োজন। আজকে যারা এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা সে কাজটি উন্নত করবেন কারণ। কোন একটা বিষয় যদি না জানা থাকে গোটা আয়োজনটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সেখানে প্রত্যেকটা বিষয়ে যে জরুরী এটাই আমি বুঝানোর চেষ্টা করছি।

মেয়র আরো বলেন, আমি মনে করি সেই জায়গাগুলাই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে আপনাদেরকে সমৃদ্ধি করবে। আমি বিশ্বাস করি, এই ওয়ার্কশপটা নিয়মিত হোক এবং ধারাবাহিকতা আপনারা ধরে রাখুন। শহরের বিবেচনায় আমি মনে করি আজকের উপস্থিতি শুরু হিসাবে অনেক হয়েছে। তবে যদি চলমান রাখি তখন দেখা যাবে আজকের উপস্থিতির তুলনায় অনেক বাড়বে। তাছাড়া আজকে যারা এসেছেন আমার বিশ্বাস যে আপনারা সবাই খুব সুন্দরভাবে এই ওয়ার্কশপকে গ্রহণ করছেন এবং আপনাদের উপকারে আসবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়ার্কশপটি করছেন আমি বিশ্বাস করি যে সেটি সফল হচ্ছে তাই আপনাদের উচিত আরো কজনকে বলা এবং এই বিষয়টাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, আমি মনে করি রেসিপিগুলো অনুসরণ করলে যে ভালো রাঁধুণী হওয়া যায় তা নয়, দক্ষতা পরিপূর্ণ হতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো কাজগুলো করার সময়ে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনি আনন্দের জন্য কাজটি করছেন, তাহলেই ভালো রাধুনী হওয়া সম্ভব। যখনই কোন কাজে আনন্দটা যোগ হবে তখন সে কাজ সুন্দর হবেই। রান্না একটা শিল্প, আমি বিশ্বাস করি সে শিল্পীর মন আপনাদের আছে। আপনারা ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা।

কর্মশালায় প্রায ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন।

(ইউএইচ/এএস/জুলাই ০৩, ২০২২)