তুষার কান্তি বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আলোচিত ফরিদ শেখ (৪০) হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫)।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই আব্দুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটিটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে মুক্তা বেগম তার স্বামী ফরিদ শেখকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এই হত্যা কান্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ফরিদ শেখ উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের ধোড়ার গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে। গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে ফরিদ শেখকে তার স্ত্রী বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় ২০জুন ফরিদ শেখের মা ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে মুক্তা বেগম ও তার পিতা সিদ্দিক তালুকদারকে (৬০) আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই আব্দুল করিম বলেন, মামলা দায়েরের দিনই আমরা মুক্তা বেগম ও তার পিতা সিদ্দিক তালুকদারকে গ্রেফতার করি। এরপর আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৫ জুলাই ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আসামীদেরকে কোটালীপাড়া থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গত বুধবার (৬জুন) আসামী মুক্তা বেগম তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাড়ির পাশের পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটিটি উদ্ধার করা হয়।

মামলার বাদী ফাতেমা বেগম তার ছেলের খুনীর শাস্তি ও এ হত্যাকান্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কি না সেটি খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।

ফরিদ শেখের পিতা ইয়ার আলী শেখ বলেন, আমার ছেলে ফরিদ ঢাকায় বাবুর্চির কাজ করতো। করোনার সময়ে সে স্থায়ী ভাবে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার ছেলের সাথে পুত্রবধু মুক্তা বেগম প্রায়ই ঝগড়া হতো। মুক্তা বেগম বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিতো। এ ঘটনায় আমার ছেলে কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডিও করেছিল। আমার ছেলের খুনী শনাক্ত হয়েছে। আমি খুনীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

(টিকেবি/এসপি/জুলাই ০৭, ২০২২)