গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ভাইয়ের বিয়েতে বরযাত্রী হতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ভ্যানে করে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলো প্রমিলা রায় (৩৫)। কিন্তু পথিমধ্যে পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কমফোর্ট লাইন নামের একটি বাসের ধাক্কায় ভ্যান থেকে ছিটকে  পরে মারা যান তিনি। 

শুক্রবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান সেতুর উপর এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে মৃত প্রমিলা রায়ের স্বামী প্রভাষ রায় (৪০), শ্বশুর মন্মথ রায় (৭০) ও ছেলে আহত হয়।

স্বামী প্রভাষ রায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া প্রমীলা রায়ের শ্বশুর ও ছেলে টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এতথ্য জানিয়েছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ দিবাকর বিশ্বাস ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, ভাইয়ের বিয়েতে বরযাত্রী হতে চিতলমারী উপজেলার আশাবুনিয়া গ্রাম থেকে ভ্যানে করে শ্বশুর, স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কাকইবুনিয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন প্রমিলা রায়। পরে তাদের ভ্যান শেখ লুৎফর রহমান সেতুর উপর উঠলে পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কমফোর্ট লাইনের একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। তখন ভ্যান থেকে সবাই ছিটকে পড়েন। ব্রিজের পিলারের সাথে মাথায় আঘাত লেগে প্রমিলা ঘটনা স্থলেই মারা যান। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রমিলার স্বামীকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। এছাড়া বাকি দুজন টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই প্রমিলার লাশ স্বজনদের তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি তন্ময় মন্ডল।

(টিকেবি/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২২)