অমল তালুকদার, পাথরঘাটা : বরগুনায় পূর্ণিমায়  ফুলে-ফেঁপে ওঠা জোয়ারের পানির তোড়ে পাথরঘাটার বাইনচটকী ও বড়ইতলা ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে সড়ক যান ও যাত্রীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে। 

শনিবার দীর্ঘ সময় বরগুনার বিষখালী নদীর বড়ইতল-বাইনচটকী ফেরিঘাট এবং পায়রা নদীর আমতলী-পুরাঘাটা ফেরিঘাটের দুই পারে শত শত বাস ও ট্রাক আটকে গিয়ে যাত্রিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।

বড়ইতলা-বাইনচটকি ও পুরাকাটা-আমতলীতে বিকল্প হিসেবে শুধুমাত্র যাত্রী পারাপারের জন্য ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও পার হতে গিয়ে জামাকাপড় পানিতে ভিজেপুরে একাকার হতে হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১ টায় বাইনচটকী, বড়ইতলা, পুরাকাটা এবং আমতলী ফেরিঘাট এলাকায় এমন দূর্ভোগের চিত্র চোখে পরেছে।

পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার প্রধান তিনটি নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা করে আসছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

ফেরিঘাটের এমন দুর্ভোগ ছাড়াও নদী-তীরবর্তী পাথরঘাটা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাড়ি ঘর সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তির বাসিন্দারা।

পূর্ণিমার প্রভাবে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বরের মোহনায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মারাত্মক বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বরগুনার বড়ইতলা এলাকা থেকে একজন পর্যটন উদ্যাক্তা ও জলতরঙ্গ'র আহ্বায়ক আরিফুর রহমান জানান, জোয়ারের পানিতে এখানকার বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এখন প্রতিদিনই সকাল-বিকেল দুইবার করে পানিতে ঘর-গৃহস্থালি তলিয়ে যাবে।

মাসুম নামের এক খেয়া ট্রলারের যাত্রী বলেন, জোয়ারের পানি বাড়লে বরইতলা ফেরিঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে যেতে দেখি ।প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ দেখি। আসোলে এ বিষয়টির কি কোনো স্থায়ী সমাধান হবে কি?

(এটি/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২২)