শৈলকূপা প্রতিনিধি : শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের  উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর সমর্থক বিজুলিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন এর ছেলে শহিদুল শনিবার বিকালে বাড়ী থেকে শৈলকূপায় আসছিল। এসময় মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌছালে প্রকাশ্য দিবালোকে শহিদুল এর উপর হামলা করে আহত করে ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভেঙে চুরমার করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এসময় শহিদুল ও স্থানীয়রা আত্মরক্ষার্থে নৌকার সমর্থকদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র কেড়ে নিয়ে নৌকার সমর্থক বাঁশী নামে একজনকে আঘাত করে। যা ঘটনাস্থলে থাকা সকলেই দেখতে পেয়েছেন। অথচ শৈলকূপা থানার ওসি এঘটনায়  পক্ষপাতিত্ব করে  উল্টো স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর ২১ জন কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু জানান,আমার কর্মী শহিদুল এর উপর হামলা করা হয়েছে। তার ব্যবহত মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া নৌকার শতশত কর্মী সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। মামলা হলে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত।

অথচ ওসি নৌকার প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উল্টো আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।

শৈলকূপা থানার ওসি আমিনুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শৈলকূপা সদর সার্কেলের এএসপি অমিত কুমার বর্মণ জানান, ওসি সাহেব তদন্ত করে মামলাটি রেকর্ড করতে পারতেন। তাছাড়াও আমাদের সাথে এ বিষয়ে তিনি কোন আলাপও করেননি। আমি উর্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবো।

(এসআই/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২২)