রিপন মারমা, কাপ্তাই : রাঙামাটি কাপ্তাই  উপজেলায় ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ড বড়ইছড়ি মারমা পাড়া নামক স্থানে কালভার্ড ও রাস্তার সংযোগ ভেঙ্গে ৭০ পরিবার সাড়ে ৩'শত অধিক  জনগন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

উপজেলার কাপ্তাই ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বড়ইছড়ি মারমা পাড়া নামক স্থানের কালভার্ড ও রাস্তার সংযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুকির্পূন ছিলো। খুবই সর্তকতার সাথে মানুষ চলাচল করতে দেখা যেত। তবে গত ১৫ জুলাই বৃষ্টির পানিতে হঠাৎ কালভার্ডটির দুপাশের রাস্তার তলার মাটি সরে গিয়ে একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে। এ সংযোগ কালভার্টটি দিয়ে বড়ইছড়ি মারমা পাড়া লোকজন প্রতিদিন শত'শত মানুষের চলাচল ছিল। বর্তমান মটর সাইকেল চলাচল তো দুরের কথা মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ওই এলাকার অংসাখই‌ মারমা (কারবারি) জানান কালভার্টটির পাশের রাস্তার দুপাশের মাটি সরে গিয়ে এই দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এখান দিয়ে কোনো মটর সাইকেল চলাচল করতে পারছে না। মানুষজন খুব ভয়ে পার হচ্ছে ঝুঁকি দিয়ে যাতায়াত করা বড়ইছড়ি মারমা পাড়া গ্রামের সাড়ে ৩ 'শত অধিক মানুষের মাঝের একাংশ জরাজীর্ণ পাঁচ বছর ধরে ভেঙে আছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ভাঙা জায়গায় মেরামত বা নতুন কালভার্ট নির্মাণের কোনো উদ্যোগের দেখা মেলেনি ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সাড়ে ৩'শত অধিক মানুষের বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই কালভার্টটি ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।

অংসাচিং মারমা জানান, র্দীঘদিন ধরে কালভার্ট দিয়ে মটর সাইকেল আতংকিত অবস্থা পার করাতে হয়। মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে এপার ওপার করে যাতায়াত করছে। কিন্তু শিশু বাচ্চা বৃদ্ধ মানুষ পারাপার হতে পারছে না ভয়ে। তাই প্রশাসনের দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন ১৯৯৯ সময়ে এই কালভার্টটি নির্মান করেন। কালর্ভাড ও রাস্তার দুপাশে প্রাকৃতিক ছড়া এপার ওপার পাইলিং করা হয়নি সেসময়ে।

গত ৫ বছর আগে এ কালভার্টটির পাটাতনের মাঝখান ভেঙে যায়। এর পর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে মটর সাইকেল ভটভটিসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। বর্তমানে এসময়ে যেহেতু বৃষ্টি দিন ভাঙ্গার অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই এলাকার প্রায় সাড়ে ৩'শত গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় বড়ইছড়ি বাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রস্থের কালভার্টের মাঝের পাটাতনের অংশ ভেঙে পড়ে আছে। বৃষ্টির হওয়া কারনে পাহাড়ে পানি ঢল নামে ঢলের পানি ধাক্কায় অনেক আগে কালভার্টের নিচে সাইড ওয়ালও ভেঙে গেছে।

যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

(আরএম/এএস/জুলাই ১৯, ২০২২)