রুপক মুখার্জী, লোহাগড়া : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, আমরা চাই লোহাগড়ার দিঘলিয়ার সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরআওতায় আনা হোক। অপরাধীদের শাস্তির ব্যাবস্থা করা হলে ভবিষ্যতে কেউ আর আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে না। একই সাথে বলতে চাই,যদি কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে কোন পোস্ট দেয়, দেশে আইন আছে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেন।কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না।

তিনি আরও বলেন, এখানে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখজনক, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদেরও আশ্বস্ত করেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনা শোনার পরই, দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

বেগম খালেদা জিয়ার বিচার শুরুর পর থেকে ফেসবুকে উস্কানিমুলক পোষ্ট দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা সেই রামুর ঘটনা থেকে দেখি, রামু, নাসিরনগর, সকল ঘটনার সাথে একটি যোগসুত্র খুঁজে পাওয়া যায়, মনে হয় এ ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে ঘটানো।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর,দোকান ও মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রাশিদুল বাশার ডলার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, সম্পাদক ও পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, দিঘলিয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি স.মওহিদুর রহমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গগতঃ গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ায় মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির ঘটনায় জের ধরে বিক্ষুদ্ধ লোকজন সাহাপাড়ার পাঁচটি বাড়ি ও দিঘলিয়া বাজারের ছয়টি দোকান ভাংচুর করে। এরমধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দির ভাংচুর ও মহাশ্মশান কালিবাড়ি মন্দির ক্ষতি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

(আরএম/এসপি/জুলাই ২১, ২০২২)