মাহবুবুর রহমান, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে বিগত দিনে প্যাথলজি বিভাগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এতে এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২ জনের বিরুদ্ধে পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রাপ্ত অর্থ সরকারি খাতে সঠিকভাবে জমা না দেয়ার অভিযোগ উঠে। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে প্রতিদিনের প্রাপ্ত অর্থের সাথে জমা করা অর্থের বিশাল গড়মিলের কারণ উদঘাটনে কোন তদন্ত করা হয়নি। এ সুযোগে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। গড়ে তুলেছে বিশাল বিত্ত বৈভব। কোটি টাকার বাড়িসহ একাধিক প্লট ক্রয়েরও সন্ধান পাওয়া গেছে এ দুজনার বিরুদ্ধে।

কিন্তু সম্প্রতি হাসপাতালে তত্তাবধায়ক পদে ডা. জহিরুল ইসলামের দায়িত্ব পাবার পর প্যাথলজি বিভাগের আয় দ্বিগুণ বেড়ে য্য়া। ২০২২ সালে ৭ ফেব্রুয়ারী সদর হাসপাতালে তত্তাবধায়ক পদে ডাঃ জহিরুল ইসলাম যোগদান করেন। কারণ তিনি এসেই প্যাথলজি বিভাগসহ অন্য বিভাগের উপার্জিত আয়ের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে প্রসংশনীয় উদ্যোগ নেন। যেমন প্যাথলজি বিভাগে আগত রোগীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থের ইতিপূর্বে কোন ডকুমেন্ট দেয়া হতো না। যার ফলে সারা দিন এ বিভাগে কত টাকা উপার্জন হলো তা যেমন হাসপাতালে রেকর্ড ছিল না তেমনি রোগীও পেতনা কোন ক্যাশ ম্যামো। দিন শেষে দায়িত্বরতরা যে হিসাব দিত তাই জমা খাতে দেখানো হতো। এ সুযোগে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান চলছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সদর হাসপাতালে আয় হয়েছে ৪৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০৭ টাকা। এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আয় ছিলো ৩৭ লক্ষ ৪ হাজার ৭২০টাকা। আগের বছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১২ লাখ ১১ হাজার ৮০৫ টাকা আয় বেশি হয়েছে। তার যোগদানের পর হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষাত গুলোতে প্রদেয় অর্থের রশিদ প্রদান পদ্ধতি চালু করে স্বচ্ছতা আনায় এ সফলতা ফিরে এসেছে।

সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থ বছরে আয়ের খাতের মধ্যে প্যাথলজি ও এক্সে থেকেই আয় হয়েছে ৩৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৫২ টাকা, এম্বুলেন্স ভাড়া থেকে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭শ টাকা এবং ৪টি কেবিন থেকে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৫৫ টাকাসহ ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৫০৭ টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্যাথলজি ও এক্সে থেকে ২৮ লক্ষ ৯২ হাজার ৫২৭ টাকা, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া থেকে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২০০টাকা এবং কেবিন ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার ৯৭৫ টাকাসহ ৩৭ লাখ ৪হাজার ৭০২ টাকা আয় হয়েছে।

(এম/এসপি/আগস্ট ০১, ২০২২)