ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকূপায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ১৫ জন। রোববার রাতে শৈলকূপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কামারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানায়, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামের বিজয়ী ইউপি সদস্য রতন কুণ্ডু ও পরাজিত সদস্য লক্ষীকান্তের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে লক্ষীকান্তের সমর্থক সুশান্ত মন্ডল পাশর্বর্তী রত্নাট গ্রাম থেকে কয়েকজন যুবককে নিয়ে কামারিয়া গ্রামে চায়ের দোকানে মহড়া দেয়। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরই জের ধরে রাতে তারা ওই গ্রামে হামলা চালিয়ে ৬ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। মারধরে আহত হয় নারীসহ অন্তত ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী কামারিয়া গ্রামের সুনীল জানান, কে বা কারা পিছন থেকে এসে আমার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে কে আঘাত করলো আমি দেখতে পাইনি।

ধলহরাচন্দ্র ইউপি মেম্বর রতন কুণ্ডু বলেন, পাশ্ববর্তী বগুড়া ইউনিয়নের ফরিদ মুন্সীর নেতৃত্বে লোকজন এসে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়।

বগুড়া ইউপি মেম্বার ফরিদ মুন্সী বলেন, আমার নেতৃত্বে কামারিয়া গ্রামে কোন হামলা হয়নি। ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে এঘটনা ঘটিয়ে আমার উপর দোষ চাপাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সাতে জড়িত না। এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, কামারিয়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক।

এ ঘটনায় বাদী পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ডের প্রস্তুতি চলছে । ওখানে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে।

(একে/এসপি/আগস্ট ০১, ২০২২)