স্টাফ রিপোর্টার : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাহেব বলেছিলেন সামান্য একটু দাম বাড়ানো হবে, সহনীয় পর্যায়ে। কিন্তু এখন অনেক দাম বাড়ানো হয়েছে। মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়ে গেছে, মানুষ আজ দিশেহারা।

শনিবার (৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ‘হত্যার’ প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ সমাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বাড়ানোর ফলে আজ সারাদেশে সড়কে যানবাহন কমে গেছে। এই মূল্যবৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবহন খরচ বাড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হবে। আজ কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা। এক নারী বলছেন এটা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।

বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে- ক্ষমতাসীনদের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা চক্রান্ত করি না, প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে এই সরকারকে সরাতে জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে ফয়সালা হবে।

এ সময় তিনি এই সরকারকে পরাজিত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেগে ওঠার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আর সময় নেই, এখন জেগে উঠতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

‘এক দফা এক দাবি সরকারের পদত্যাগ’ স্লোগান দিয়ে সমাবেশে বক্তব্য শেষ করেন মির্জা ফখরুল।

সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতিবিদদের মূল্য দেন না। তিনি বলেন, আর বেশি সময় নেই। আওয়ামী লীগ নেতাদের জেলের ভেতরে বসে আঙুল চুষতে হবে।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, তাইফুল ইসলাম টিপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, আজিজুল বারী হেলাল, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আকরামুল হাসান মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০২২)