স্টাফ রিপোর্টার : নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনাসহ বিভিন্ন খোড়া যুক্তিতে জনগনকে দেউলিয়া করতে তেলের দাম ১৭ বারের মত বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদি দাম না কমানো হয়; জনগন জানে কিভাবে এইসব বদমন্ত্রী-আমলাদেরকে শিক্ষা দিতে হয়; সেই শিক্ষার পথে যাবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।

জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ করেই ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৬ আগস্ট বিকেলে পুরানা পল্টনে এক সমাবেশে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, কাদের পেট ভরতে তেলের দাম বৃদ্ধি করে জনগনকে দেউলিয়া করছে সরকার; তা এখনই খতিয়ে দেখা দরকার। একদিকে কারা টাকা পাচার করছে, তা বলতে পারছে না, অন্যদিকে ক্রমশ সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেশের বাইরে আরামে দিনযাপন করছে সরকারের কলাকুশলিগণ; এগুলো ভালো লক্ষণ নয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার রাশেদা চৌধুরী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবুল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এনডিবির যুগ্ম আহবায়ক রুবেল আকন্দ প্রমুখ।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২৩ বছরে ২৬ বার জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর নতুন করে আবার বিভিন্ন খোড়া অজুহাতে সাপ্তাহিক শেষ কর্মদিবসে চোরের মত জনগনের কাঁধে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে তামশা দেখা আমলা-মন্ত্রীদেরকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে সারাদেশে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করা হবে। আমরা ক্ষমতায় আসতে বা থাকতে চাই না, কেবলমাত্র ছাত্র-যুব-জনতাকে সাথে নিয়ে দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে ভালো থাকতে চাই, সেই চাওয়াতেও যদি ছাই দিয়ে আপনারা রাজত্ব চালাতে চান, তা দুঃস্বপ্ন করে দেবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। এসময় মোমিন মেহেদী আরো বলেন, বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম যখন কমেছে, তখন নির্মম এই সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? যখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমরা তেল রপ্তানিও করি, তখন কেন এমন নির্মম সিদ্ধান্ত? তা জনগন জানতে চায় এবং অতি দ্রুত তেলে দাম আগের দামেই কিনতে চায়। করোনা পরিস্থিতিতে এমন নির্মমতা তারা আর দেখতে চায় না।

নেতৃবৃন্দ এসময় আরো বলেন, কাদের সাহেব বলেছেন, বিপিসিকে দেউলিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো- তাহলে কি তিনি এবং তার সরকার জনগনকে দেউলিয়া দেখতে চান?

(পিআর/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০২২)