সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : কোন বিল নয়, নদীও নয়। কেন্দুয়া পৌর শহরের কাচারি বাড়ির পুকুরের জলে লাল ভেসে লাল শাপলা হাসে। এই লাল শাপলা বছরের পর বছর ধরে এই পুকুরের পানিতে অন্যরকম সুন্দর্য ছড়াচ্ছে। পথচারিরা ওই লাল শাপলার ছড়ানো মুগ্ধতা দেখতে খানিকের জন্য হলেও দাড়াচ্ছেন। উপভোগ করছেন সুন্দর্য। পুকুরটির পশ্চিম পারে কান্দিউড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, দক্ষিনে রাস্তা, পূর্বপারে কেন্দুয়া উপজেলা ভূমি অফিস এবং উত্তরপারে ভরাট হয়ে যাওয়া রাজ রাজেস্বরী নদীর তীরে স্থাপিত হয় চিরঞ্জীব নামের বদ্ধ ভূমি।

পুকুরের এই লাল শাপলা সব সময় হাসতে থাকায় পুকুরের জল সহ সামগ্রীক পরিবেশকে আরো সুষমা মন্ডিত করে তুলেছে। প্রায় দেড় বছর আগে তৎকালিন সহকারি কমিশনার (ভূমি) বর্তমানে বিভাগীয় কমিশনার ময়মনসিংহের একান্ত সচিব মোঃ খবিরুল আহসান কেন্দুয়ায় কর্মে যোগদান করার পর পুকুরটির সংস্কার কাজে হাত দেন। সংস্কারের মধ্যে খনন করা হয় পুকুর, তৈরি করা হয় একটি পাকা ঘাট এবং দক্ষিন পাশে দেয়া হয় বাউন্ডারী দেয়াল। সেই দেয়ালের উপরিভাগে সুন্দর্য বর্ধন ও আলো ছড়ানোর জন্য দেয়া হয়েছে হরেক রকমের বাতি। এবার খনন করার পর আবারো লাল শাপলার চারা রোপন করা হয়। বৃষ্টির পানি ছাড়াও বিকল্প উপায়ে পুকুরটি পানি দিয়ে ভরে দেয়া হয়। সংরক্ষনে থাকার ফলে লাল শাপলা পুকুরের পানিতে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

২৭ জুলাই শফিকুর রেজা বিশ্বাস বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ বিভাগ এবং নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম এই পুকুর পারের বাউন্ডারী দেয়ালের ভেতর রোপন করেন ফলজ বৃক্ষের চারা। এসময় বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব মোঃ খবিরুল আহসান তাদেরকে লাল শাপলা ও চিরঞ্জীব বদ্ধ ভূমি স্থাপনা সহ বাউন্ডারী দেয়ালটি দেখান। এই লাল শাপলার আরেক নাম হলো রক্ত কমল এবং বৈজ্ঞানিক নাম হলো ঘুসঢ়যধবধ জঁনৎধ। প্রতিদিন শত শত পথচারি এই লাল শাপলার সুন্দর্য দেখে তাদের চোখ জুড়াচ্ছেন এবং প্রশংসার সাথে জরিয়ে দিচ্ছেন তৎকালিন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ খবিরুল আহসানের নাম। বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব মোঃ খবিরুল আহসান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সরকারের সীমিত টাকা দিয়েই পুকুর খনন, বাউন্ডারী দেয়াল, চিরঞ্জীব স্মৃতি ফলক নির্মান করা হয়েছে। সংরক্ষনে থাকলে দিন দিনই এর সুন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

(বিএস/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০২২)