স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, মানুষের আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বেশি তেলের দাম আর কখনো বাড়েনি। আমরা সরকারের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেছিলাম। তারা এত লুটপাট, দুর্নীতি করবে- এটা ভাবতেও পারিনি।

সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির কাকরাইলস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। বুধবার (১০ আগস্ট) দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলও করবে দলটি।

চুন্নু বলেন, গতকাল (রবিবার) পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, তারা আইএমএফ’র পরামর্শে দাম বাড়িয়েছে, অর্থমন্ত্রী বলেন আন্তর্জাতিক বাজার বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছি আমরা। তাদের কারও কথার ঠিক নেই। প্রধানমন্ত্রী আপনি গণভবনে গণ্ডির মধ্যে সঠিক অবস্থা জানতে পারছেন না আপনার দলের লোকজন কীভাবে লুটপাট করছে। সঠিক অবস্থা জেনে নিন, না হলে জাতীয় পার্টি মাঠ থেকে সরে যাবে না।

দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আমার মনে হয় দেশে সরকার নেই, সরকার থাকলে এভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে পারতো না। সরকার জনগণের কথা ভাবে না। সরকারকে ঘিরে রেখেছে কিছু আমলা-ব্যবসায়ী। তাদের কথায় চলে সরকার। সমস্ত ব্যাংক লুটপাট করে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়ছে।

জাপার আরেক কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের মানুষের আবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। দাম না কমালে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।

এসময় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেন, অনতিবিলম্বে তেলের দাম কমিয়ে দিন। না হলে জাতীয় পার্টি ঘরে বসে থাকতে পারে না। জাপা জনগণের রাজনীতি করে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। জনগণের এই সংকটে জাতীয় পার্টি রাজপথে থাকবেই।

এর আগে গত ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপে রাতের ভোটের বিষয়টি স্বীকার করে বিতর্কের জন্ম দেন চুন্নু।

নির্বাচন কমিশনে সেদিন মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘রাতে কিন্তু কাজটা হয় (ভোট দেওয়া)। হয় মানে কী, আমরাই করাইছি। কী বলবো, এটা হয়। এটা হয় না, ঠিক না।’

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৯, ২০২২)