রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরীতে রাস্তা নির্মাণসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের ইট-বালু-খোয়া দিয়ে যেনতেনভাবে রাস্তা নির্মাণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিসিকের কারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ,জলাবদ্ধ বিসিকের প্রধান রাস্তায় যে পরিমাণ উচু করার কথা ছিল ঠিকাদারের, তার অর্ধেকও হয়নি। তবে কাজের মান ভালো না হলে কাজ বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন বিসিক কর্মকর্তারা। 

বিসিক সাতক্ষীরা সূত্রে জানা যায়,৭ হাজার ৩শ’ ১২ মি. রাস্তা নির্মাণে খরচ হচ্ছে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এছাড়া ২ হাজার ৫শ’ ৮৩ মি. ড্রেন নির্মাণে বরাদ্দ রয়েছে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা, ওয়াটার ট্যাংক নির্মাণে ১৫ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা, পাম্প নির্মাণে ১০ লক্ষ টাকা, বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণে ২৭ লক্ষ টাকাসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে মোট বরাদ্দ ৭ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান জানান, রাস্তায় নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া বর্ষাকালে জলমগ্ন বিসিকের রাস্তা যে পরিমাণ উচু হওয়ার কথা, তার অর্ধেকও উচু করা হচ্ছেনা। এছাড়া নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে ড্রেন নির্মাণেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এসকল স্থাপনা কয়েকবছরের মধ্যে ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা বিসিক শিল্প নগরীর কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম রনি জানান, রাস্তা নির্মাণ ও ড্রেন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করার পর থেকে ঠিকাদার পরবর্তীতে ভালো মানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করছেন।

বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইন বলেন, কাজ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার ভাল মানের ইট, খোয়া দিয়ে পূনরায় কাজ শুরু করেছে।

কাজের অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার আরাফাত রহমান বলেন, রড ও সিমেন্টের দাম ব্যাপক বেড়ে গেলেও ক্ষতিস্বীকার করে কাজের মান ভালো করার চেষ্টা করছি।

ডেপুটি ম্যানেজার ও প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সমুদয় কাজ ২১ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়ে ২২ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। তবে ঠিকাদারের গাফিলতিতে ও করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজে বিলম্ব হয়েছে।

(আরকে/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০২২)