গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে  বিবদমান পুকুরের মাছধরকে কেন্দ্র করে আব্দুল ওয়াদুত খান হত্যা মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন ও ২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিজ্ঞ বিচারক। মামালার অপর ১১ আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোঃ আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলে মুকসুদপুর উপজেলার চাওচা গ্রামের মৃত হোসেন মোল্যার ছেলে হায়দার মোল্যা (৬২), একই গ্রামের নূর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে ইউনুস মোল্যা (৩৫) ও হিটলার মোল্য ((৩২)। এ মমলায় হায়দার মোল্যার ছেলে আক্তার মোল্যাকে ১ বছর ও বাদশা মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যাকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানগেছে, বিগত ২০১৬ সালের ৮ জুলাই মুকসুদপুর উপজেলার চাওচা গ্রামে বিবদমান পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আসামী হায়দার মোল্যা ও তার লোকজন প্রতিপক্ষ আব্দুল ওয়াদুত খানের ওপর হামলা করে ১০ হাজার টাকা মাছ ছিনিয়ে নেয়। এতে আব্দুল ওয়াদুত খান মারাত্মক আহত হন। তাকে মুকসুদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় আব্দুল ওয়াদুত খানের ছেলে মোঃ আলিম খান ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট ১৬ জনকে আসামী করে গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মমলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক দিপক কুমার সিকদার দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিগত ২০১৭ সালের ২১ মার্চ আদালতে ১৬ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন।

সাক্ষ্যপ্রমান গ্রহণ শেষে বিজ্ঞবিচারক ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় ঘোষনা করেন। ১১ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেয়া হয়।

বেকসুর খালাস প্রাপ্তরা হলেন, পলাশ খান, বিউটি বেগম, মোঃ ইমরান মোল্যা, মোঃ আলমগীর মোল্লা, চয়ন মোল্যা, মোঃ ইব্রাহিম মোল্যা, মোক্তার মোল্যা, মোঃ কাজল মোল্যা, বাদশা মোল্যা, সীমা বেগম ও মাহাবুবুর রহমান।

আসামী পক্ষের আইনজিবি ছিলেন ফজলুল হক খান ও মোহাম্মদ আবু তালেব শেখ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করে বিজ্ঞ এপিপি মোঃ শহিদুজ্জামান খান।
আসামী পক্ষের আইনজিবি ফজলুল হক খান বলেন, এ ব্যাপারে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

মামলার বাদী আলিম খান বলেছেন, আমরা ন্যয্য বিচার পাইনি। ন্যয্য বিচার পেতে উচ্চ আদলতের দ্বারস্থ হব।

(টিকেবি/এএস/আগস্ট ১০, ২০২২)