স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সুইস রাষ্ট্রদূত বলেছেন তাদের কাছে বাংলাদেশ টাকা পাচারের তথ্য চায়নি। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন তারা সুইস ব্যাংকের কাছে টাকা পাচারের হিসাব চেয়েছিলেন। যদি টাকা পাচারের তথ্য চেয়েই থাকেন, তাহলে তার দলিল দেখান। জনগণ দেখতে চায়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বহুমাত্রিক প্রভাব ও বাংলাদেশের গন্তব্য কোন পথে শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, একজন রাষ্ট্রদূত মিথ্যা বলছেন তার বিরুদ্ধে এমন প্রচারণা আপনারা চালাবেন। তারা তথ্য দেয়নি এমন কথা বলার আগে নিজেরা প্রমাণ দেন যে, আপনারা তথ্য চেয়েছেন।

‘কতো বড় মিথ্যাচার বর্তমান সরকার করতে পারে। পেট্রোল-অকটেন নাকি আমরা আমদানি করি না। অথচ এটা আমাদের আমদানি করতে হয়। যদিও গ্যাসের উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে পেট্রোল-অকটেন তৈরি করা যায়। গ্যাসও তো আমদানি করতে হয়। অথচ আমাদের মাটির নিচে অনেক গ্যাস রয়ে গেছে। একটা কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে, আমাদের সবই ঠিক আছে, শুধু টাকা পাচারের কারণেই সব সংকট।’

মান্না বলেন, শুধু আবেগ দিয়ে সমাধান হবে না। আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। এক লক্ষ লোক ঢাকায় নেমে যদি সরকারকে বলি, তুমি না গেলে আমরা যাবো না। দেখি সরকার কি করে। আমরা তো সেটা পারলাম না। সরকার যতোই চেষ্টা করুক, গায়ের জোরে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা কোনো ধাক্কা সামলানোর মতো কোনো শক্তি এখন নাই। যদি রাজনৈতিক দলগুলো যার যার জায়গা থেকে একত্র হয়ে আন্দোলনে নামতে পারতো, তাহলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারত না। এই মুহূর্তে সংকট কাটাতে সরকারের কোনো সক্ষমতা নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি তার বিরুদ্ধে না দাঁড়ানো যায়, তাহলে সে কি করবে তা বলা যায় না। আমরা শুধু ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করি। এর চাইতে ভালো সময় আর কবে হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে, এমন লোক আমি দেখি না এখন আর। যারা তাদের কাছ থেকে লাভ করতে পেরেছে, তারাই বর্তমান পরিস্থিতিতেও পক্ষে কথা বলছেন। কিন্তু তাদেরও দুই চারটা কথা বলুন, আটকে যাবে। মানুষ অনেক বিক্ষুব্ধ। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ভাই সরকার যাবে কবে। আমি বলি সরকার তো নামতে চায় না। কারণ বাঘের পিঠে উঠলে নামা যায় না। সরকার আজ বাঘের পিঠে চড়েছে।

নাম উল্লেখ না করে মান্না বলেন, আমাদের গণতন্ত্র মঞ্চ হবার পর একজন মন্ত্রী বললেন যতো সব পরিত্যক্ত লোক নিয়ে মঞ্চ গঠন হয়েছে। আমি বলবো, ভাই আপনাদের থেকে একজন প্রতিষ্ঠিতলোক দেন। যার সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে নিম্ন অবস্থানেরও লোক ভোট করবেন। অনলাইনে ভোট হবে। দেখি কে জেতে।

জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদসহ জামায়াতে ইসলামি, জাগপা ও বিএনপির অন্যান্য শরিক দলের নেতাকর্মীরা।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১২, ২০২২)